ভারত: ১৭৪/১০ (পন্থ ৩৪, রাহুল ২৩) ৩২৭/১০ (রাহুল-১২৩, মায়াঙ্ক-৬০)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৯৪-৪ (এলগার ৫২, পিটারসন ১৭), ১৯৭/১০ (বাভুমা ৫২, ডি’কক ৩৪)
জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৬ উইকেট, দক্ষিণ আফ্রিকার ২১১ প্রয়োজন রান।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় কোনও অঘটন, বা বৃষ্টি। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের পঞ্চম দিনে নামার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা মনেপ্রাণে চাইবে, এই দুটির মধ্যে কোনও একটি ঘটে যাক। কারণ চতুর্থ দিনের শেষে যতই তাঁদের অধিনায়ক অপরাজিত থাকুন না কেন, পঞ্চম দিন ভারতের চার পেসার এবং অশ্বিনের সামনে অবশিষ্ট ২১১ রান করাটা যে সহজ কাজ হবে না, সেটা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। বিশেষ করে হাতে যখন রয়েছে মাত্র ছ’টি উইকেট।
সেঞ্চুরিয়নের পিচ এখনও ভালমতোই বোলারদের মদত দিচ্ছে। পঞ্চম দিন সকালেও দেবে বলেই মনে হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত যেভাবে অল-আউট হল সেটা দেখার পর প্রোটিয়াদের ভয় আরও বাড়বে। চাপের মুখে এদিন আরও একবার ভেঙে পড়েছে ভারতের ব্যাটিং দুর্গ। আরও একবার ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২০২১ সালের শেষ ইনিংসে ভারত অধিনায়কের সংগ্রহ মোটে ১৮ রান। যার অর্থ গোটা ২০২১ সালে একটাও সেঞ্চুরি পেলেন না ভারত অধিনায়ক। বস্তুত, টেস্ট ক্রিকেটে কোহলি শেষবার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্টে। খারাপ ফর্ম থাকার থেকেও বড় কথা, কিং কোহলি (Virat Kohli) প্রতিদিনই যেন একইভাবে আউট হচ্ছেন। সেটাই বেশি করে ভাবাচ্ছে ভারতীয় শিবিরকে।
[আরও পড়ুন: Sourav Ganguly: ডক্সিসাইক্লিন, ককটেল থেরাপি প্রয়োগ, কেমন আছেন করোনা আক্রান্ত সৌরভ?]
বিরাটের পাশাপাশি গোটা ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপটাই এদিন ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট হারিয়েছিল ভারত। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন শার্দূল ঠাকুর। দিনের শেষে শার্দূল ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। অন্যদিকে লোকেশ রাহুল অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে। বুধবার ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যেই কেউই বড় রান করতে পারেননি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়েছে। যার ফলে টিম ইন্ডিয়া গুটিয়ে গিয়েছে ১৭৪ রানে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেছেন ঋষভ পন্থ। ওয়ানডে ফরম্যাটের মতো ৩৪ বলে ৩৪ রান করেন উইকেটকিপার।
[আরও পড়ুন: করোনায় ‘আক্রান্ত’ ছোটদের এশিয়া কাপও, শেষ চারের লড়াইয়ে ভারতের সামনে বাংলাদেশ]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রটিয়া শিবিরে থাবা বসান মহম্মদ শামি (Mohammad Shami)। মার্করামকে মাত্র ১ রানে ফিরিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় উইকেটটি পড়েছে ৩৫ রানে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফিরেছেন পিটারসন। ভ্যান ডার ডুসেনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক এলগার একটা সময় লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ১১ রানে ফিরেছেন ভ্যান ডার ডুসেনও। দিনের শেষবলে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন নাইট ওয়াচম্যান কেশব মহারাজও। আপাতত অধিনায়ক এলগারই ভরসা প্রোটিয়াদের। আর একটি ভরসা অবশ্য আছে। সেটা হল বৃষ্টি। কারণ চেঞ্চুরিয়নে পঞ্চম দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। প্রোটিয়ারা মনেপ্রাণে চাইবে সেটাই যেন হয়।