ভারত: ২০২/১০ (রাহুল-৫০, অশ্বিন-৪৬, মার্কো-৩১/৪)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৫/১ (পিটারসেন-১৪*)
প্রথম দিনের শেষে ১৬৭ রানে পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ২০২ রান মোটেই স্বস্তির বিষয় নয়। কিন্তু ব্যাটিং লাইন আপ ধসে পড়লে যদি বোলাররা নিজেদের শক্ত কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেন, তাহলে নিঃসন্দেহে খেলা জমে যায়। তেমনটাই হল জোহানেসবার্গে। মারক্রামকে আউট করে শুরুতেই প্রোটিয়া শিবিরে জোর ধাক্কা দিলেন মহম্মদ শামি।
জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে হারের কোনও ইতিহাস নেই ভারতের (Team India)। ১৯৯২/৯৩ থেকে এখনও পর্যন্ত ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ জয়ী ও তিনটিতে ড্র করেছে টিম ইন্ডিয়া। ক্যাপ্টেন কোহলি নিজেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই মাঠে। সেই ইতিবাচক পরিসংখ্যান নিয়েই আজ মাঠে নামার কথা ছিল কোহলির। কিন্তু বল গড়ানোর আগেই ছন্দপতন। পিঠের চোটে কাবু কোহলি বাদ পড়লেন দল থেকে। নেতৃত্বের দায়িত্ব পেলেন রাহুল।
[আরও পড়ুন: কোভিডবিধি না মানার ‘শাস্তি’, মোটা অঙ্কের জরিমানা হল মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ৭ ফুটবলারের]
সোমবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল (Lokesh Rahul)। তবে ভারতের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ২০২ রানে। অধিনায়ক রাহুল ও অশ্বিনই যা লড়াই দেন। তাঁর ৫০ এবং অশ্বিনের ৪৬ রানের দৌলতেই দুশোর গণ্ডি পেরোয় দল। প্রোটিয়া বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে বাকিরা কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। কাগিসো রাবাদা ৩টি, অলিভিয়ের ৩টি এবং মার্কো জ্যানসেন ৪টি উইকেট তুলে নেন।
তবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মারক্রামকে মাত্র ৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের ভিত নাড়িয়ে দেন শামি। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন ক্যাপ্টেন এলগার (১১*) ও পিটারসেন (১৪*)। এই টেস্ট কোন দিকে গড়াবে, তা এখনই বলা কঠিন। তবে ভারতীয় তারকাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দিচ্ছে, কোহলির অনুস্থিতিতেও জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তাঁরা। জোহানেসবার্গ টেস্ট জিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে নয়া ইতিহাস রচনা করতে বদ্ধপরিকর রাহুল অ্যান্ড কোং।