ভারত: ২২৩/১০ (কোহলি-৭৯) ও ১৯৮/১০ (পন্থ-১০০*)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২১০/১০ (পিটারসেন- ৭২, বুমরাহ-৪২/৫) ও ২১২-৩ (পিটারসেন-৮২, ভ্যান ডার ডুসেন ৪১)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতছানি ছিল ইতিহাস গড়ার। প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জিতে ফেরার মতো রসদও ছিল। কিন্তু শেষমেশ একরাশ ব্যর্থতা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে ভারতকে। কেপ টাউনে বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) একপ্রকার অনায়াসে হারিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে পকেটে পুরে ফেলল প্রোটিয়ারা।
কেপ টাউন টেস্ট তথা সিরিজ জয়ের জন্য শুক্রবার ১১১ রানের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার আটজন ব্যাটারকে আউট করতে হত শামি-বুমরাহদের। কিন্তু কেগান পিটারসেনের অনবদ্য ইনিংস এবং বাভুমা, ভ্যান ডার ডুসেনদের অদম্য মানসিকতা ভারতের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে অনায়াসে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিল প্রোটিয়াদের। গোটা দিনে ভারতের বিশ্বখ্যাত বোলাররা তুললেন মাত্র ১ উইকেট।
[আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে পারে ইডেনে? বাড়ছে সম্ভাবনা]
ম্যাচ জিততে হলে শুক্রবার অর্থাৎ ম্যাচের চতুর্থ দিন সকালেই প্রোটিয়া শিবিরে ভাঙন ধরাতে হত ভারতকে (Team India)। কিন্তু আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার পিটারসেন এবং ভ্যান ডার ডুসেন বুমরাহ, শামিদের সব আক্রমণ প্রতিরোধ করলেন। শুধু প্রতিরোধ করলেন তাই নয়, পালটা আক্রমণও করলেন। পিটারসেন ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন। তাঁর উইকেটের পতনের সময় ভারতের হাত থেকে ম্যাচ একপ্রকার বেরিয়েই গিয়েছিল। যেটুকু আশা বাকি ছিল সেটুকুও শেষ করে দেন বাভুমা এবং ভ্যান ডার ডুসেন। পিটারসেনের উইকেটের পর নতুন করে জুটি বাঁধেন তাঁরা। প্রোটিয়াদের ব্যাটিং প্রতিরোধের সামনে বুমরাহ (Jasprit Bumrah), শামি, উমেশ, অশ্বিনদের অসহায় মনে হচ্ছিল। কয়েকটা সুযোগ অবশ্য তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কখনও ক্যাচ মিস, কখনও ডিআরএসে দুর্ভাগ্য ভারতকে আরও পিছিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ উইকেট খুইয়েই ভারতের দেওয়া ২১২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
[আরও পড়ুন: Virat Kohli: মাঠে মেজাজ হারালেন কোহলি, স্টাম্প মাইকে শোনা গেল গালিগালাজ! হইচই নেটদুনিয়ায়]
এই হারের ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে খোয়াল ভারত। বিরাট কোহলিরা শুধু যে সিরিজ হারলেন তাই নয়, সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও (World Test Championship) অনেকটা পিছিয়ে পড়লেন। এরপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছাতে হলে আগামী দিনে ঘরের মাঠে সবক’টি ম্যাচ জিততে হবে ভারতকে। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে হারাতে হবে।