ভারত: ১৮১ (ঈশান ৫৫, শুভমন ৩৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮২-৪ (হোপ ৬৩, কার্টি ৪৮, শার্দূল ৪২-২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কবে দায়িত্ব নিতে শিখবেন তরুণরা? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ভারতের লজ্জার হারের পর মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এই প্রশ্নই। যে দলটা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা পর্যন্ত অর্জন করতে পারেনি, তাদের বিরুদ্ধে স্রেফ ১৮১ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়ার কোনও ব্যাখ্যা কি দিতে পারবেন ভারতের তরুণ ব্যাটাররা? বিশেষ করে যে পিচে ক্যারিবিয়ানদের এই ১৮২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিশেষ বেগই পেতে হল না, সেই পিচে।
বিশ্বকাপের আগে আর ৯-১০টি ম্যাচ পাবে ভারত। তার মধ্যে আবার এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট রয়েছে। তাই পরীক্ষানিরীক্ষা করার যেটুকু সুযোগ, সেটা এই সিরিজেই। সেটা ভেবেই হয়তো ‘দুর্বল’ ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে বিশ্রামে গিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। কিন্তু তাঁরা বোধ হয় কস্মিনকালেও ভাবেননি, তাঁদের অনুপস্থিতিতে টিমের তথাকথিত প্রতিভাবান তরুণরা এভাবে ডুবিয়ে দেবেন।
[আরও পড়ুন: বাঘ দিবসে সুখবর, মধ্যপ্রদেশে চার বছরে দক্ষিণরায়ের সংখ্যা বাড়ল ২৫৯টি, টুইট শিবরাজের]
অথচ টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল হার্দিক পাণ্ডিয়ার ভারত। ঈশান কিষান এবং শুভমন গিল প্রথম উইকেটেই ৯০ রানের জুটি বেঁধেছিলেন। ৩৪ রানে গিল নিজের উইকেটটি ছুঁড়ে দিয়ে আসতেই খেলা বদলে যায়। ৯০ রানে ১ উইকেট থেকে সোজা ১৪৮ রানে ৭ উইকেটে পৌঁছে যায় ভারতীয় দল। সেট ঈশান কিষান আউট হন ৫৫ করে। সঞ্জু স্যামসন, যাঁকে দলে সুযোগ না দেওয়া নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে এত আলোচনা, তিনি করলেন ৯। এদিন উপরে ব্যাট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল অক্ষর প্যাটেলকে। তিনি করলেন ১। আরও একটি ইনিংসে ব্যর্থ হলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। এদিনের অধিনায়ক করলেন ৭। সূর্যকুমার যাদব, যিনি কিনা বিশ্বকাপের দলে ঢোকার জন্য পরীক্ষা দিচ্ছেন, তিনিও ২৪ রান করে আবারও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন। উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন অভিজ্ঞ রবীন্দ্র জাদেজাও। তাঁর সংগ্রহ ১০। শার্দূল, কুলদীপরাও শেষদিকে বিশেষ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ভারতের ইনিংস শেষ হল মাত্র ১৮১ রানে। যা কিনা অনায়াসে ৪ উইকেট খুইয়ে ৮০ বল বাকি থাকতে তুলে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপ (৬৩) এবং কেচি কার্টিরা (৪৮) দেখিয়ে দিলেন যে পিচে কোনও জুজু নেই।
[আরও পড়ুন: ‘ওরা সরকারের উপর ভরসা হারিয়েছেন’, মণিপুরবাসীর দুঃখ শুনলেন INDIA’র প্রতিনিধিরা]
বিশ্বকাপের বাকি মাত্র ৩ মাস। অথচ এখনও ভারতের মিডল অর্ডারের এই দুর্দশা তুলে দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুলরা চোট সারিয়ে না ফিরলে, আদৌ সূর্যকুমার-সঞ্জু স্যামসনদের উপর ভরসা করা যাবে তো? হার্দিক পাণ্ডিয়ার যা ব্যাটিং ফর্ম, তাতে ফিনিশারের কাজটি তিনি ঠিকমতো করতে পারবেন তো? শুভমন গিল-ইশান কিষানরাই বা নিজেদের উইকেটের মূল্য কবে বুঝবেন? শেষ পর্যন্ত ভারতের টিম কম্বিনেশন কী হবে? প্রশ্ন অনেক, আর উত্তর খোঁজার সময় কিন্তু সামান্যই।