সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, আর ওমিক্রন (Omicron) যেভাবে ডেল্টাকে ছাপিয়ে ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী করোনার স্ট্রেনে পরিণত হচ্ছে, সেটা রুখতে হয়তো না চাইলেও লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলছেন উলটো কথা। তাঁর বক্তব্য, আগের মতো করোনা ভাইরাস (Coronavirus) এবছর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি রুখতে পারবে না। অর্থাৎ মোদির স্পষ্ট ইঙ্গিত, যতই করোনা বাড়ুক, লকডাউনের পথে হেঁটে আর্থিক বৃদ্ধিকে ফের স্লথ করে দিতে চান না তিনি।
শনিবার ভারচুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি (PM-KISAN Scheme) কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের দশম কিস্তির অনুদান দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোদি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০২১ সালটা করোনা মহামারীর মধ্যেও দেশের লড়াই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। উন্নয়নের ধারাকে আরও গতি দিতে হবে আমাদের। করোনা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে আমাদের, কিন্তু উন্নয়নের গতিকে রুখতে পারবে না।” নতুন বছর ২০২২ সালের প্রথম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারতের অর্থনীতি ৮ শতাংশের বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে রেকর্ড বিদেশি বিনিয়োগও সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। জাতীয় কোষাগারে বেড়েছে বিদেশি মূদ্রার পরিমাণ, বেড়েছে জিএসটি সংগ্রহও।
[আরও পড়ুন: COVID-19: সংক্রমণ ঠেকাতে ফের কড়া বিধিনিষেধের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য! দাবি সূত্রের]
মোদি এদিন বলে দেন, “ভারত সবরকম সাবধানতা বজায় রেখে, সতর্কতার সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়বে এবং জাতীয় স্বার্থও পূরণ করবে।” অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন (Lock Down) নয়, সচেতনতাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে ভারত সরকার। কারণ, এর আগে করোনার দুটি ঢেউয়ের ক্ষেত্রেই কড়া বিধিনিষেধের ফলে দেশের অর্থনীতির ভালরকম ক্ষতি হয়েছে। একসময় দেশের জিডিপি বাড়ার বদলে ২৩.৯ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হয়েছে। এরপর আরও একটি লকডাউনের মার অর্থনীতি সইতে পারবে না।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনার নয়া চিকিৎসাবিধি, ব্যবহার হবে ককটেল থেরাপি এবং ওরাল ট্যাবলেট]
তাছাড়া, এখনই লকডাউনের কথা এমনিও ভাবছে না সরকার। কারণ, করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়ছে ঠিকই কিন্তু তার ভয়াবহতা অনেক কম। আগের মতো হাজার হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভরতি হতে হচ্ছে না। হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না, বা অক্সিজেন মিলছে না তেমন খবরও এখনও আসা শুরু করেনি। তাই বিধিনিষেধ নিয়ে একটু ধীরে চলারই পক্ষে কেন্দ্র।