ভারত: ১৯৯-২ (ঈশান কিষান ৮৯, শ্রেয়স ৫৭*)
শ্রীলঙ্কা: ১৩৭-৬ (আসালাঙ্কা ৫৩*, ভুবনেশ্বর কুমার ২-৯ )
ভারত ৬২ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সহজেই শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) হারাল ভারত (India)। এই শ্রীলঙ্কা দল বোলিং ও ব্যাটিংয়ে বিষ ঢালতে পারল না। ফলে রোহিত শর্মার ভারতের কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করল দ্বীপরাষ্ট্র। শ্রীলঙ্কা ভারতে আসার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত ৬২ রানে হারাল দ্বীপরাষ্ট্রকে। টস জিতে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায়। ব্যাট হাতে নেমে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ঝড় তোলেন। রোহিত শর্মা, ঈশান কিষান ও শ্রেয়স আইয়ারের তাণ্ডবে ভারত ২০ ওভারে করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা থেমে গেল ৬ উইকেটে ১৩৭ রানে।
সময়টা ভালই যাচ্ছে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma)। ক্যাপ্টেন হয়ে সাফল্য পাচ্ছেন। জিতছেন। আবার এদিন রেকর্ডও গড়লেন। লখনউয়ে বল গড়ানোর আগে রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রোহিত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে করে ফেললেন একাধিক রেকর্ড। কনিষ্ঠতম ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিকের নাম এখন রোহিত শর্মা। পিছনে পড়ে থাকলেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ও বিরাট কোহলিকে। আর ৩৭ রান করলেই রেকর্ড গড়তেন রোহিত। এদিন ৩৭ রান করার সঙ্গে সঙ্গেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যান রোহিত। ১২৩ ম্যাচে রোহিতের রান ৩৩০৭ রান। ১১২ ম্যাচে গাপটিলের রান ৩২৯৯ রান। বিরাট কোহলি ৯৭ ম্যাচে করেছেন ৩২৯৬ রান।
[ আরও পড়ুন : ফের পয়েন্ট নষ্ট এটিকে মোহনবাগানের, ওড়িশার সঙ্গে ড্র করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড]
এদিন রোহিতের ৩২ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে সাজানো ছিল ১টি ছক্কা ও ২টি চার। রোহিত ও ঈশান কিষান ওপেন করতে নেমে ১১১ রান করেন। শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং করেন ঈশান কিষান। রোহিত ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে বোল্ড হন লাহিরু কুমারার বলে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ও ঈশান কিষান ৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ঈশান কিষান ৫৬ বলে ৮৯ রান করেন। ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। শেষের দিকে মারতে গিয়ে আউট হন ঈশান। তবে ভাগ্য সহায় থাকলে এদিন সেঞ্চুরিও পেতে পারতেন এই তরুণ ক্রিকেটার। ঈশান কিষান ফিরে যাওয়ার পরে ভারতের ইনিংস ১৯৯ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান শ্রেয়স। কারণ ইশান কিষান যখন আউট হয়েছিলেন তখন ভারতের রান ছিল ১৫৫। সেখান থেকে শ্রেয়সের মারমুখী ব্যাটিং ভারতকে পৌঁছে দেয় ১৯৯ রানে।
২০ ওভারে ভারতের পাহাড়প্রমাণ ১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। নিসানকাকে (০) শুরুতেই ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার। কামিল মিশারাও (১৩) ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার। লিয়ানাগে ব্যক্তিগত ১১ রান আউট হন। তখন শ্রীলঙ্কার রান মাত্র ৩৬। এদিকে তারা হারিয়েছে তিন-তিনটি উইকেট। পরপর উইকেট হারানোর ফলে আগেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দীনেশ চান্ডিমলকে (১০) ফেরান জাদেজা। শানাকা ফেরেন মাত্র ৩ রানে। করুণারত্নে ২১ রানে আউট হন ভেঙ্কটেশ আইয়ারের বলে। চারিথ আসালাঙ্কা ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে যান। তিনিই শ্রীলঙ্কার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেন। ভারতের বিশাল ১৯৯ রান তাড়া করে জেতার মতো ব্যাটিং শক্তি নেই এই শ্রীলঙ্কার। তাদের বোলিং বিভাগও দুর্বল। ভারতের বোলারদের মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমার ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার ২টি করে উইকেট নেন। চাহাল ও রবীন্দ্র জাদেজা ১টি করে উইকেট নেন।
[ আরও পড়ুন : ঘোষিত আইপিএলের দিনক্ষণ, মুম্বইয়ে হবে ৫৫টি ম্যাচ]