সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটানা বৃষ্টি, হড়পা বান, ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। ২০ জুন থেকে শুরু হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এরই মধ্যে গত ৩০ জুন রাতে হড়পা বানে পরিবারের সকলের মৃত্যু হলেও, অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছে ১১ মাসের এক শিশুকন্যা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সর্বত্র চর্চা মৃত্যুঞ্জয়ীকে নিয়ে।
কিন্তু কীভাবে বাঁচল ওই শিশু কন্যা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতে বাড়ির এককোণে ঘুমাচ্ছিল একরত্তি। আচমকাই তাদের বাড়িরে জল ঢুকে যায়। সেই জলে ভেসে যান খুদেটির মা, বাবা ও দিদিমা। কোনওভাবে বরাতজোরে রক্ষা পেয়ে যায় শিশুকন্যাটি। পরদিন সকালে ভাঙা ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে শিশুকন্যটিকে উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুকন্যাটির নাম নিকিতা। তার বাবা রমেশের দেহ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তার মা রাধা ও দিদিমা পূর্ণা দেবী। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনার পর পরিবারের সকলকে হারিয়ে আপাতত অনাথ ওই শিশুকন্যাটি। বর্তমানে সে তার পিসির কাছে রয়েছে। তবে তাকে দত্তক নিতে এগিয়ে এসেছেন অনেকে। তবে শিশুটি এখনও তার মা ও দিদিমাকে ক্রমাগত খুঁজে চলেছেন বলে জানিয়েছেন তার পিসি।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরের পাহাড়ি এই রাজ্যে। গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাণ্ডি জেলা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। পাহাড়ি এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫৪১ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
