সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাড়ি পার্কিং নিয়ে বচসার জেরে সেনা আধিকারিক ও তাঁর পুত্রকে বেধড়ক মার পাঞ্জাব পুলিশের। বেসবল ব্যাট দিয়ে টানা ৪৫ মিনিট ধরে চলে মারধর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। অভিযুক্ত ১২ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি বসানো হয়েছে তদন্ত কমিটি। ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভগবন্ত মান সরকারের তরফে।

এই ঘটনার সূত্রপাত গত ১৩ মার্চ। পাটিয়ালার এক হাসপাতালের পাশে খাবারের দোকানের সামনে গাড়ি পার্ক করেছিলেন দিল্লির সেনা দপ্তরে কর্মরত আধিকারিক কর্ণেল পুস্পিন্দর বাথ ও তাঁর পুত্র। সেই সময় সাদা পোশাকের তিন পুলিশকর্মী তাঁদের গাড়ি সরানোর নির্দেশ দেয়। তাতে আপত্তি জানালেন শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, সেই সময় ওই সেনা আধিকারিককে এলোপাথাড়ি লাথি-ঘুসি মারেন এক পুলিশ আধিকারিক। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মারধর করা হয় তাঁর ছেলেকেও। সেনা আধিকারিকের পুত্রের কথায়, প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে লাঠি, রড এবং বেসবল ব্যাট দিয়ে মারা হয় তাঁদের। মারের চোটে হাত ভেঙেছে ওই সেনা আধিকারিকের হাত ভেঙেছে। তাঁর ছেলের মাথাতেও গুরুতর আঘাত লেগেছে।
শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করলেও পুলিশ সাহায্যতো করেইনি, উলটে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। সম্প্রতি সেই হামলার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। এরপরই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। রীতিমতো চাপের মুখে ঘটনায় অভিযুক্ত ১২ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে পাটিয়ালা পুলিশ। পুলিশ আধিকারিক ড. নানক সিং বলেন, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা।