সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড (Covid) তো ছিলই। এরপর সম্প্রতি ভারতে মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox) সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একাধিক উপসর্গ মিলেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক নাবালিকার শরীরে। এর মধ্যে নয়া উপদ্রব-‘নোজ ব্লিড ফিভার’ (Nose Bleed Fever)! এই বিরল ভাইরাস ঘটিত রোগে এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত হয়েছেন দু’ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে গুজরাটের (Gujarat) এক মহিলার।
গত মার্চ মাসে গুজরাটের ভাবনগরে দু’ জনের শরীরে নয়া ভাইরাস ঘটিত রোগটির উপসর্গ দেখা গিয়েছিল।তাঁদেরই একজন ৫৫ বছর বয়সি মহিলার মৃত্যু হয়েছে। যার পরে দেশে ‘নোজ ব্লিড ফিভার’ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে হু (WHO) জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি দেশে উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল এই ভাইরাস। তবে নয়া ভাইরাস নিয়ে সব থেকে বেশি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ইরাকে (Iraq)। সেখানে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মূলত গবাদিপশুর দেহ থেকে এই রোগটি মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়। গবাদিপশুর উকুন থেকেও ভাইরাসটি সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এছাড়াও পশুর রক্ত থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রশ্ন হল, নোজ ব্লিড ফিভার ঠিক কোন ধরনের রোগ? মানুষের জন্য তা কতটা বিপজ্জনক?
[আরও পড়ুন: ধর্ষক নাতজামাই! দিনের পর দিন স্ত্রীর ঠাকুমাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এই রোগের মূল উপসর্গ জ্বর। রোগের আসল নাম ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমারেজিক ফিভার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনার ‘নোজ ব্লিড ফিভার’ হয়েছে? ভাইরাস ঘটিত রোগটির এমন নামই বা কেন?
[আরও পড়ুন: ফিরছে ভয়ংকর দিনগুলি! কাশ্মীর ফাইলসের সিক্যুয়েল তৈরি হবে? কেন্দ্রকে কটাক্ষ সঞ্জয় রাউতের]
এক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগীর নাক থেকে অনর্গল রক্তপাত হয়। তাই এমন নাম। মূল উপসর্গ পাঁচটি। সেগুলি হল মাথা যন্ত্রণা, তীব্র জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া। এছাড়াও পিঠে ব্যথা, পেট ব্যথা ও বমি ভাব এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা হতে পারে। কিন্তু নাক থেকে রক্ত পড়ে কখন? রোগের তীব্রতা বাড়লেই তা হয়ে থাকে। সাধারণত ভাইরাস ঘটিত জ্বরটিতে আক্রান্ত হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর অবস্থা উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। আর তখনই রক্তপাত হয় নাক থেকে।