সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য পেল সেনা। বুধবার শোপিয়ানে (Shopian) গুলিযুদ্ধে নিকেশ হল তিন অজ্ঞাত পরিচয় জঙ্গি। আর কোনও জেহাদি ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা জানতে চলছে তল্লাশি।
শোপিয়ান এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধির খবর মিলেছিল আগেই। সেই মতো বুধবার এলাকা ঘিরে ফেলে কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা জওয়ানের যৌথবাহিনী। শুরু হয় তল্লাশি। সেই সময় কয়েকজন লুকিয়ে থাকা কয়েকজন জঙ্গির হদিশ পায় যৌথবাহিনী। জেহাদিদের (Terrorists) আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয় তারা। কিন্তু সে কথায় কর্ণপাত করেনি জঙ্গিরা।
[আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘বাংলায় চাকরি করতে হলে আঞ্চলিক ভাষা জানা মাস্ট’, বললেন মুখ্যমন্ত্রী]
সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। এনকাউন্টারে তিন জেহাদি নিকেশ হয়েছে বলে খবর। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই পুলওয়ামায় সেনার সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হয় জইশ-ই-মহম্মদের কুখ্যাত জঙ্গি মহম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে লম্বু। বলে রাখা ভাল, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতও সন্ত্রাস দমনে সেনা অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: চপার দুর্ঘটনায় বিপিন রাওয়াত, ‘দুঃসংবাদ’ পেয়ে মাঝপথে প্রশাসনিক বৈঠক থামালেন মুখ্যমন্ত্রী]
গত জুন মাসেই কাশ্মীরে লস্করের কমান্ডার নাদিম আবরার-সহ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী। কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা ও হত্যার একাধিক ঘটনায় জড়িত ছিল সে। তার আগে গত মে মাসে কেন্দ্রশাসিত প্রদেশটির অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সন্ত্রাসবাদীদের। ওই সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়। সব মিলিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় লস্করের কোমর ভেঙে সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় সেনাবাহিনী।