shono
Advertisement

কার্ডিয়াক থেকে ডায়াবেটিস, গুণমানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল নিত্য ব্যবহারের ৪৮টি ওষুধ

তালিকায় রয়েছে নামী সংস্থাও।
Posted: 03:47 PM Apr 27, 2023Updated: 03:49 PM Apr 27, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগেই জাল ওষুধ তৈরির অভিযোগে ১৮টি ফার্মা কোম্পানির (Pharma Companies) লাইসেন্স বাতিল করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ামক সংস্থা ডিসিজিআই (DCGI)। এবার গুণমানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করল এদেশে বহুল ব্যবহৃত ৪৮ ওষুধ। এর মধ্যে রয়েছে হার্টের ওষুধ, ডায়াবেটিস, প্রেশার থেকে শুরু করে মাল্টিভিটামিন ইত্যাদি। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই ওষুধগুলির উপাদানে গোলমাল রয়েছে। ইতিমধ্যে গুণমানের বিচার ফেল করা ওষুধগুলির তালিকা প্রকাশ করেছে ডিসিজিআই।

Advertisement

গত বছর ভারতের সংস্থার তৈরি কাশির ওষুধ খেয়ে উজবেকিস্তানে ১৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। নয়ডার ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে একটি সংস্থার চোখের ড্রপে বিষাক্ত উপাদান মেলে। এই ধরনের একাধিক ঘটনা সামনে আসার পর ওষুধের গুণমান বিচারে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। সেই সূত্রেই সম্প্রতি ১,৪৯৭টি ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করে ডিসিজিআই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ামক সংস্থা ওষুধের তালিকা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ১,৪৪৯টি ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় পাশ করেছে। অর্থাৎ কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে ৪৮টি ওষুধ।

[আরও পড়ুন: সিপিএমের তহবিলে দান, ডাক বিভাগে বাম সংগঠনের স্বীকৃতিই বাতিল]

চিন্তার বিষয় হল ফেল করা ওষুধের অধিকাংশই বহুল ব্যবহৃত। তার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, মাল্টিভিটামিন, প্রোবায়োটিক্স, হার্টের অসুখের ওষুধ, অ্যান্টি ডায়াবেটিক বা সুগারের ওষুধ, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ইত্যাদি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় অ্যান্টি ডায়বেটিক গ্লিমেপিরাইড এবং মেটফর্মিন, উচ্চ রক্তচাপের জন্য ব্যবহৃত টেলমিসার্টিন এই মন্দ তালিকায় পড়েছে। এমনকী ভিটামিন ট্যাবলেট, যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ১২, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামোক্সিসিলিন, ভিটামিন ডি৩ ট্যাবলেটও রয়েছে তালিকায়। এর বেশ কয়েকটি বাচ্চাদেরও খাওয়ানো হয়। জানা গিয়েছে, ৪৮ ওষুধকে লাল তালিকাভুক্ত করার পর ফার্মা কোম্পানিগুলির প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে ডিসিজিআই।

[আরও পড়ুন: ভোটপ্রচারে উসকানিমূলক মন্তব্য! খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে FIR কংগ্রেসের]

ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সাফাই দিয়েছে। গ্রেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালসের বক্তব্য, তাদের যে ব্যাচের ওষুধ পরীক্ষায় ফেল করেছে, সেটি নাকি জাল। অ্যাবট ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তারা থারোনর্ম ট্যাবলেটের একটি ব্যাচ বাজার থেকে তুলে নিয়েছে ইত্যাদি। এখন দেখার এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ২০টি রাজ্যের ৭৬টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার দপ্তরে আচমকা পরিদর্শন চালায় ডিসিজিআইয়ের আধিকারিকরা। এর পরেই জাল ওষুধ তৈরির অভিযোগে ১৮টি ফার্মা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement