সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাওবাদী মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। শনিবার সকাল থেকে চলা অভিযানে ছত্তিশগড়ে খতম ৫ মাওবাদী। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। পাশাপাশি গুলির লড়াইয়ে দুই জওয়ান আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য এয়ার লিফট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রায়পুরে।
ছত্তিশগড়ের বস্তার রেঞ্জে নারায়ণপুর কাঙ্কের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এবং পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর ৫ মাওবাদির মৃত্যু হয়। তাদের কাছ থেকে ৫টি সংক্রিয় রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। এদিকে অভিযান চলাকালীন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের দুই জওয়ান আহত হন। দ্রুত কপ্টারে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে রায়পুরের নারায়না হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বস্তার রেঞ্জের আইজিপি পি সুন্দররাজ বলেন, গোটা এলাকা ঘিরে রেখে এখনও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিএসএফ-এর যৌথ বাহিনী। আরও বেশ কয়েকজন মাওবাদী ওখানে রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনও চলছে গুলির লড়াই। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিজাপুরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ৩ মাওবাদীর। এই তিনজনের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ভারত মাওবাদী-মুক্ত হবে বলে ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে লাগাতার চলছে মাও-বিরোধী অভিযান। ইদানীংকালে মাওবাদী অভিযানে সবচেয়ে বড় সাফল্য মিলেছে গত অক্টোবর মাসে। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড’-এর অভিযানে ৩৮ মাওবাদী খতম হয়। যদিও অভিযানে শেষে ফেরার পথে মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় সেনা জওয়ানের। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন পুলিশকর্মী এবং ৫০ জনেরও বেশি নাগরিক মাওবাদীদের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন। বরং উলটো দিকে ২০২৪ সালে ২৫০ জনেরও বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮১২ জন। আত্মসমর্পণ করেছেন ৭২৩ জন মাওবাদী।