সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ গার্হস্থ্য হিংসার
অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু দেশের প্রত্যেক ১০০জন মহিলার মধ্যে ৪৫জনই মনে করেন বিভিন্ন কারণে স্বামী তাঁর স্ত্রীকে মারতে বা অত্যাচার করতেই পারেন। তাতে আপত্তির কিছু দেখেন না তাঁরা। অন্যদিকে একশোর মধ্যে ৪৪ জন পুরুষ গার্হস্থ্য হিংসাকে অপরাধ বলতে নারাজ।
সম্প্রতি, জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষা ৫ (২০১৯-২১)-এ উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমীক্ষাতে সাতটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ক্যাটাগরিতে স্ত্রী ও পরুষ দুপক্ষের থেকেই জানতে চাওয়া হয় স্ত্রীর উপর অত্যাচার ও মারধরের ঘটনাকে তাঁরা সর্মথন করেন কি না? ৩০ শতাংশের বেশি পুরুষ ও মহিলা উত্তর দেন, স্বামী স্ত্রীর উপর অত্য়াচার চালাতেই পারেন। এই ক্যাটাগরিতেই সবচেয়ে বেশি হারে মত প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। অন্যদিকে, ১১শতাংশ মহিলা ও পুরুষ মনে করেন স্ত্রী যদি শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হয়, সেক্ষেত্রেও মারধর ও অত্যাচার অপরাধ নয়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশের মধ্যে অন্ধপ্রদেশের সবচেয়ে বেশি মহিলা মনে করেন স্ত্রীর উপর অত্যাচার অপরাধ নয়। সেরাজ্যের ৮৩.৬ শতাংশ মহিলা গার্হস্থ্য হিংসাকে অন্যায় বলে মনে করেন না। বাংলার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ৪১.৬ শতাংশ। দাদরা ও নগর হাভেলি ও দমন দিউয়ের মহিলারা সবচেয়ে বেশি গার্হস্থ্য হিংসা বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন। সেখানে মাত্র ৯.২ শতাংশ মহিলা মনে করেন গার্হস্থ্য হিংসা অপরাধ নয়।
২০১৯-২১ সালের এই সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, দেশে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সি বিবাহিতা মহিলাদের মধ্যে ১৮ বছরের নিচে বিয়ে করেছেন ২৩.৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলে সেই হার ১৪.৭ শতাংশ। গ্রামে ২৭.০ শতাংশ। যা চতুর্থ সমীক্ষা থেকে ৩.৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়াও শহরাঞ্চলে মহিলাদের প্রজনন হার ১.৬ শতাংশ। গ্রামে সেই হার ২.১ শতাংশ। এই ছবিটাও গতবারের সমীক্ষা থেকে নিম্নমুখী। তবে গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে মতামত স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে।