সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের মে মাসে দিল্লিতে নিজের বাড়িতে খুন হন চিকিৎসক যোগেশচন্দ্র পাল। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত বিষ্ণুস্বরূপ শাহীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনল পুলিশ। শনিবার দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে ৮টি মোবাইল, ২০টি সিম, এমনকী ৬ বার নিজের নাম বদল করে অভিযুক্ত।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, খুনের পর পুলিশ যাতে তাঁর নাগাল না পায় সে জন্য ১৬০০ কিলোমিটার দূরে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। উদ্দেশ্য ছিল নেপালে চলে যাওয়া। এই কয়েক মাস ধরে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে ছ’বারের বেশি নাম বদল করে জাল পরিচয় পত্র দেখিয়ে একাধিক জায়গায় সে আশ্রয় নেয় বিষ্ণুস্বরূপ শাহী। কখনও নিজের নাম রাখে শক্তি সাই, তো কখনও সত্য সাই, সূর্য প্রকাশ শাহী, গগন আলি এবং কৃষ্ণ শাহীর মতো একাধিক নাম ব্যবহার করে। ৮টি ফোনে অন্তত ২০ বার সিম বদল করে অভিযুক্ত।
অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে এদিকে বিষ্ণুর পুরনো মোবাইলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেই ফোনের সূত্র ধরেই জানা যায়, হিমাচল প্রদেশে গা ঢাকা দিয়েছে অপরাধী। শুধু তাই নয়, সেখান থেকে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এর পর বৃহস্পতির রাতে বিষ্ণুকে ধরতে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে শনিবার সকালে নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় বিষ্ণুকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জংপুরায় খুন হয়েছিলেন ৬৩ বছর বয়সি চিকিৎসক যোগেশচন্দ্র পাল। চেয়ারের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে যোগেশকে। শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে লুঠ করা হয়েছে নগদ টাকা ও গয়না। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখান থেকে পুলিশ তথ্য পায় এই খুনে জড়িত রয়েছে ৪ দুষ্কৃতী। অপরাধীদের ধরতে এর পর কোমর বেঁধে নামে দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন বিভাগ। খুনের ঘটনার ৫ মাস পর অবশেষে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত।