সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছরের বিজেপি-রাজের অবসান ঘটিয়ে দিল্লি পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। বুধবার সকাল থেকে গণনা শুরু হতেই পরিষ্কার হয়ে যায় আম আদমি পার্টিই (AAP) জয়ী হতে চলেছে। বেলা বাড়তেই জয় এসে গেল আপের হাতের মুঠোয়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ববি কিন্নর। আপের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে তাঁর জয় যেন গড়ে দিয়ে গেল এক অন্য কীর্তিও। তিনিই দিল্লি পুরসভার প্রথম রূপান্তরকামী কাউন্সিলর।
ববি অবশ্য রাজনীতির ময়দানে নতুন মুখ নয়। ২০১৭ সালেও তিনি নির্বাচনে লড়েছিলেন। তবে নির্দল প্রার্থী হিসেবে। আপের সঞ্জীব কুমারের কাছে হেরে যাওয়ায় সেযাত্রা তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়নি। কিন্তু এবার আর খালি হাতে ফিরতে হয়নি। কেজরিওয়ালের দলের থেকেই টিকিট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ববি।
[আরও পড়ুন: ফের স্বস্তিতে অনুব্রত, আপাতত তৃণমূল নেতাকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারবে না ইডি]
ববি যে এলাকা থেকে লড়েছেন, সেখানে বড় সমস্যা ছিল খোলা ড্রেন ও রাস্তাভরতি খানাখন্দ। এই বেহাল দশা থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিই ছিল ববির বড় হাতিয়ার। গত মাসেই তাঁকে এই বিষয়ে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”রাস্তাঘাট ও পার্কে প্রচুর আবর্জনা জমে থাকে। যেখানে সেখানে খোলা নর্দমা। আমি জিতলে এখানে সৌন্দর্যায়ন ঘটাব।” ববি জিতে গিয়েছেন। এলাকাবাসীর আশা, এবার হয়তো কথা রাখবেন দিল্লি পুরসভার প্রথম রূপান্তরকামী কাউন্সিলর।
উল্লেখ্য, দিল্লির প্রায় ৯৪ শতাংশ এলাকা পুরনিগমের অধীনে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লির শাসনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিধানসভার মতো পুরনিগমের নির্বাচনও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি সেই ২০১৫ সালে ক্ষমতায় এলেও দিল্লি পুরনিগম (MCD) তারা এর আগে দখল করতে পারেনি। বস্তুত, সেই ২০০৫ সাল থেকে দিল্লি পুরনিগমের রাশ ছিল বিজেপির হাতে। দেড় দশকের সেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে কাজে লাগিয়ে পুরনিগমেও এবার দেখা গেল ঝাড়ুঝড়। পুরনিগম হাতছাড়া হওয়ার অর্থ, রাজধানীর শাসনব্যবস্থার আর কোনও স্তরেই বিজেপির অস্তিত্ব রইল না।