shono
Advertisement

সরকারি কোভিড কিটে পতঞ্জলির করোনিল! ডাক্তারদের কটাক্ষের মুখে উত্তরাখণ্ড সরকার

করোনিলকে ওই কিটে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
Posted: 04:40 PM Jun 05, 2021Updated: 04:40 PM Jun 05, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যালোপ্যাথি নিয়ে মন্তব্যের পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে বাবা রামদেব (Baba Ramdev)। তাঁর বিরুদ্ধে করা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ড সরকারের কোভিড (COVID-19) কিটে পতঞ্জলির ওষুধ করোনিল (Coronil) অন্তর্ভুক্ত হল। সেরাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন এই অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রতিবাদ জানিয়ে একে ‘মিক্সোপ্যাথি’ বলে ব্যঙ্গ করেছে। কেন ওই ওষুধ করোনা কিটের মধ্যে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ওই সংগঠন।

Advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO করোনিলকে অনুমোদন দেয়নি। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকাতেও এই আয়ুর্বেদিক ওষুধকে রাখা হয়নি। তাহলে কেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) করোনা কিটে জায়গা দেওয়া হল করোনিলকে। এই প্রশ্ন তুলে চিকিৎসকদের সংগঠনের সাফ কথা, ‘‘অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে করোনিলের এই অন্তর্ভুক্তি তো মিক্সোপ্যাথি (অর্থাৎ আয়ুর্বেদ ও অ্যালোপ্যাথির মিশ্রণ)। যা সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া নিয়মানুযায়ী অনুমোদনযোগ্য নয়।’’
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে করোনিল আত্মপ্রকাশ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। মে মাসে হরিয়ানা সরকারের বিনামূল্যের করোনা কিটে অন্তর্ভুক্ত হয় করোনিল। তখনও তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছি‌ল। এবার উত্তরাখণ্ডের করোনা কিটেও রাখা হল করোনিলকে।

[আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত, মন্তব্য মোদির] 

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিওতে যোগগুরু রামদেবকে বলতে শোনা গিয়েছিল,‘‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা আসলে বোকামি। চিকিৎসার নামে তামাশা চলে। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে।”
যোগগুরুর দাবি ছিল, করোনার বিরুদ্ধে একের পর এক অ্যালোপ্যাথি ওষুধ ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, ওই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগের আসল কারণ অনুসন্ধানই করা হয় না। এই মন্তব্যের জেরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন চিঠি লিখে রামদেবকে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বানে বাবা রামদেব প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও পালটা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে গোটা ২৫ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। যোগগুরুর প্রশ্ন, অ্যালোপ্যাথি যদি এতই ভাল হবে, তাহলে চিকিৎসকরা অসুস্থ হন কেন।

তারপর থেকেই বিতর্ক আরও ঘনিয়েছে। IMA ১ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছে। পাশাপাশি ফোরডার তরফে দাবি তোলা হয়েছে, রামদেব যদি তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চান তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মহামারি রোগ আইন, ১৯৮৭-এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁর গ্রেপ্তারির দাবি উঠেছে নেট দুনিয়াতেও।

[আরও পড়ুন: পরা যাবে না জিন্স-টি শার্ট, কর্মীদের জন্য নয়া পোশাক বিধি চালু করল CBI]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement