সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও বাদ মুঘল যুগ। কখনও বাদ ডারউইনের তত্ত্ব। আবার কখনও বাদ গণতন্ত্রের অধ্যায়। একের পর এর বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে বাদ নানা প্রসঙ্গ। এবং এই প্রস্তাবের পিছনে রয়েছে এনসিইআরটি (NCERT)। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা রাষ্ট্রীয় শিক্ষা অনুসন্ধান এবং প্রশিক্ষণ পরিষদের এ হেন নির্দেশগুচ্ছে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে এবার ২০০৬-০৭ সালে নবম থেকে দশম শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ের সিলেবাস তৈরির মুখ্য উপদেষ্টা পদে থাকা সুহাস পালসিকার ও যোগেন্দ্র যাদব অব্যাহতি চাইলেন। কাউন্সিলের কাছে লেখা চিঠিতে তাঁদের দাবি, সরিয়ে দেওয়া হোক তাঁদের দু’জনের নাম।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুহাস পালসিকার ও যোগেন্দ্র যাদব। তাঁদের লেখা চিঠিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও টেক্সটেরই অভ্যন্তরীণ যুক্তিজাল থাকে। এভাবে নির্বিচারে সব মুছে দিলে সেই টেক্সটের নির্যাসই যেন বিঘ্নিত হয়। ক্ষমতা কাঠামোকে খুশি করা ছাড়া এর মধ্যে আমরা আর কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।’
[আরও পড়ুন: ৮ জুলাই একদফায় রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট, দিনক্ষণ জানালেন নির্বাচন কমিশনার]
সম্প্রতি বারবার সিলেবাস থেকে একাধিক বিষয় বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে এনসিইআরটি। বিরোধীদের অভিযোগ, স্কুল স্তর থেকেই গৈরিকীকরণে তৎপরতা শুরু করেছে মোদি সরকার। যার প্রভাব পড়ছে পাঠ্যক্রমে। বিজেপির আদর্শের সঙ্গে যে সমস্ত অধ্যায়ের খাপ খাচ্ছে না সেগুলিকেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলপাঠ্য থেকে। এনসিইআরটি অবশ্য দাবি করছে, পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ কমাতেই এই উদ্যোগ।