সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লি ভোটের আগে যমুনার জল গড়িয়েই চলেছে। হরিয়ানা সরকার তো বটেই এবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল তোপ দাগলেন নির্বাচন কমিশনকেও। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যমুনা মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে নির্বাচন কমিশন জবাব তলব করতেই ফুঁসে উঠলেন আপ সুপ্রিমো।

কেজরিওয়ালের দাবি, দিল্লির ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। হরিয়ানা থেকে আসা যমুনার জলে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ ছিল ৭ ppm। যা বিপজ্জনক। দিল্লি সরকারের অক্লান্ত চেষ্টায় সেটা নেমে এসেছে ২.১ ppm-এ। আপ সুপ্রিমো বলছেন, "এটা একদম স্পষ্ট যে হরিয়ানার বিজেপি সরকার যমুনার জলে অ্যামোনিয়ার স্তর বাড়ানোর ষড়যন্ত্র করেছে। সেই ডিসেম্বরের অতিশী নোটিস দিয়েছিলেন, যে দিল্লিতে যমুনার যে জল আসছে তাতে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। পাঞ্জাব এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে অনেক দৌড়ঝাঁপও করেছেন।
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, অর্ধেক দিল্লিকে বিষাক্ত জল খাওয়ানোর ষড়যন্ত্র করেছে হরিয়ানা। এরপরও যদি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাহানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় নির্বাচন কমিশন, তাহলে সেটা নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হবে। এখানেই থামেননি কেজরিওয়াল। সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিশানা করে আপ সুপ্রিমো বলছেন, এই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভারতের ইতিহাসে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এমন ক্ষতি তিনি করে দিয়ে গেলেন, যা অপুরণীয়।"
কেজরিওয়াল অভিযোগ, বিজেপি যেভাবে টাকার বিনিময়ে ভোট কিনছে, সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এটাই স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হবে। যা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। কিন্তু মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বিজেপির এই দুর্নীতি মানতেই নারাজ।