সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গি। সোমবার অসমের কোকরাঝড় থেকে এই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ। সন্দেহভাজন এই জঙ্গির নাম গাজী রহমান। সূত্রের খবর, এই জঙ্গি পূর্ব ভারতে এবিটির স্লিপার সেলের অন্যতম বড় মাথা। যদিও পুলিশের তরফে এখনও স্পষ্ট করে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
হাসিনা বিদায়ের পর সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশজুড়ে মৌলবাদের দাপট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আইএসআই-এর মদতে সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বহু জঙ্গি সংগঠন। তারই অন্যতম এই আনসারুল্লা বাংলা টিম। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মাটিতে জেহাদের বিষ ছড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে আল কায়দার ছায়া সংগঠন। যদিও তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই জেহাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে 'অপারেশন প্রঘাত' শুরু করেছে অসম পুলিশ। এই অভিযানে এখনও পর্যন্ত ১১ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও এক নাম গাজী রহমান।
সোমবার অসম পুলিশের এসটিএফের জালে ধরা পড়া এই জঙ্গির সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে কিছু না জানানো হলেও, সূত্রের খবর, পূর্ব ভারতে স্লিপার সেলের দায়িত্বে ছিল এই গাজী। যার লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মের মগজধোলাই করে জেহাদের বিষ ছড়িয়ে দেওয়া। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোকরাঝড় জেলায় অভিযান চালায় এসটিএফ। সেখানেই গ্রেপ্তার হয় এই সন্দেহভাজন জঙ্গি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এসটিএফ। জানার চেষ্টা চলছে, ভারতে তাদের সংগঠনের জাল ঠিক কতদূর ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে বাংলা, কেরল ও অসমে অভিযান চালিয়ে আনসারুল্লা বাংলা টিমের ৮ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশের STF। বড়দিনের আগে পাকড়াও করা হয় এই জঙ্গি সংগঠনের ২ সদস্যকে, যাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিস্ফোরক তৈরির সামগ্রী। অসমের ধুবড়ির বান্ধবপাড়া থেকে শাহিনুর ইসলাম নামে আরও এক জঙ্গি। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মুম্বই হামলার ধাঁচে দেশের নানা প্রান্তে নাশকতার ছক ছিল এই জঙ্গিদের। এমনকী বাংলায় গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছিল আনসারুল্লা বাংলা টিম। চলছিল তার প্রশিক্ষণ। যদিও ভয়াবহ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই আনসারুল্লা শিকড় উপড়ে ফেলতে কোমর বেঁধে নামলেন তদন্তকারীরা।