সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। মঙ্গলবার তাঁর ইডি হেফাজত শেষ। ফের দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা হবে। তবে এদিন তাঁর জামিনের আবেদন করা হবে না বলেই খবর। ইডি (ED) তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানাতে পারে। সেক্ষেত্রে তিহাড় জেলেই তাঁকে পাঠানো হবে বলে অনুমান। এদিকে, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন সোমবার সামান্য অসুস্থ বোধ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর কাশি হয়েছে, অক্সিজেন (Oxygen)ছাড়া থাকতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
একই আবেদন নিয়ে দুই আদালতে মামলা করে এর আগে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে ইডির বিরুদ্ধে কলকাতা ও দিল্লি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। তাতে দিল্লি হাই কোর্টই (Delhi HC) প্রশ্ন তুলেছিল, কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) যে মামলা শুনছে, তা নিয়ে ফের অন্য আদালতে আবেদন কেন? যার জেরে তৃণমূল নেতাকে জরিমানাও করা হয়। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আবেদন জানানো হবে না। কারণ, দিল্লি হাই কোর্টে ২৩ তারিখ অনুব্রতর জামিন (Bail Petition) মামলার শুনানি।
[আরও পড়ুন: শিক্ষা দুর্নীতি মামলা: অয়ন শীলের বান্ধবী সুন্দরী অভিনেত্রীর সন্ধান, ইডির নজরে এবার ‘শ্বেতা’]
এদিকে, ইডি সূত্রে খবর, এদিন রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রতকে পেশ করে ইডি জেল হেফাজতের আবেদন করতে চায়। তাদের আবেদন মঞ্জুর হলে তিহাড় জেল হবে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতির ঠিকানা। গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এই মুহূর্তে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমার রয়েছেন তিহাড় জেলে (Tihar Jail)। তাঁদেরই পাশাপাশি অনুব্রতকেও রাখা হতে পারে। এদিকে, বুধবার অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল-সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজনকে দিল্লির ইডি দপ্তরে তলব করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অভিযান শুরুর আগেই ধাক্কা নাইটদের, শ্রেয়সের পর অনিশ্চিত আরও দুই তারকা]
এদিন সকালে অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে পেশ করার আগে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য। চেক আপের পর অবশ্য আদালতে না নিয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে ফের ইডি দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইডির ডেপুটি ডিরেক্টরের তত্বাবধানে জেরা শুরু হয়। আদালত যদি ইডির আবেদন মেনে তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়, তাহলে তাঁকে তিহাড় জেলের হাসপাতালে রাখা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইডি আর জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না বলেই আদালতে পেশের আগেই তা করা হচ্ছে।