সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপহরণের অভিযোগে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিহারের আরজেডি বিধায়ক কার্তিকেয়া সিংকে। কিন্তু আত্মসমর্পণ করার দিনেই রাজভবনে গিয়ে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে শপথ নিলেন তিনি। গোটা ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই শপথ নিয়েছেন বিহারের মহাজোট সরকারের মন্ত্রীরা।
কার্তিকেয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ সালে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার জন্য অপহরণ করেছিলেন তিনি। সেই মামলাতেই গত ১৪ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, ১৬ আগস্ট তাঁকে দানাপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই রাজভবনে গিয়ে মন্ত্রী (Bihar Law Minister) হিসাবে শপথ নেন কার্তিকেয়া সিং। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরজেডি বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের বাঁচতে দিন’, প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ কাশ্মীরি পণ্ডিতদের]
তিনি বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে কোনও ওয়ারেন্ট নেই। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি আমি।” অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি বলেছেন, “আমার কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। আমি কিছুই জানি না।” প্রসঙ্গত, আইন মন্ত্রী হিসাবে মন্ত্রিসভায় (Bihar Cabinet) জায়গা পেয়েছেন কার্তিকেয়া। তাঁর বিরুদ্ধেই আইন ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এনডিএ জোট ভেঙে বেরিয়ে এসে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন নীতীশ কুমার। আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে তৈরি করেছেন মহাজোটের সরকার। ৩১ জন বিধায়ককে নিয়ে গঠিত হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা। বিহারের বৃহত্তম দল হওয়ার সুবাদে ১৫ আরজেডি বিধায়ক জায়গা পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলির অধিকাংশই গিয়েছে যাদব এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের বিধায়কদের হাতে। লালুপ্রসাদ যাদবের দুই পুত্রই জায়গা পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হয়েছেন তেজস্বী যাদব।