সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক দশক আগে ধর্ষণে অভিযুক্ত হন স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু (Asaram Bapu)। সোমবার গুজরাটের (Gujarat) একটি আদালত ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল তাঁকে। মোতেরার আশ্রমে এক মহিলা শিষ্যকে ধর্ষণ করেন আসারাম, এমনটাই অভিযোগ ছিল। সেই মামলাতেই এদিন দোষী সাব্যস্ত হলেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা হতে পারে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে ‘গডম্যানে’র।
১০ বছর আগে সুরাটের (Surat) বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, মোতেরার আশ্রমে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন আসারাম। ওই মামলায় আসারামের পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন শিষ্যও অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁরা হলেন আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী। চার শিষ্যা ধ্রুববেন, নির্মলা, জাস্সি ও মীরা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ৭৭ বছর বয়সী ধর্মগুরুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই এদিন গান্ধীনগর আদালত (Gandhinagar Court) দোষী সাব্যস্ত করল স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে ধর্মগুরুর।
[আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের সময়ে মহিলার দুই কিডনি ‘চুরি’, অসুস্থ স্ত্রীকে ফেলে পলাতক স্বামী]
এছাড়াও ২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আসারামের বিরুদ্ধে। এর পর ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ২০১৮ সালে যোধপুরের একটি আদালত এই ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করে। তার পর থেকে যোধপুরেই জেলবন্দি রয়েছেন আসারাম। এবার আরও একটি ধর্ষণের অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হলেন। পরিবারের সদস্য ও শিষ্যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সাহায্যের অভিযোগ থাকলেও গান্ধীনগর আদালত তাঁদের বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে।
[আরও পড়ুন: গোরক্ষনাথ মন্দিরে হামলার ঘটনায় দোষী মুরতাজাকে মৃত্যুদণ্ডের দিল আদালত]
এদিকে ধর্ষণ এবং খুন-সহ নানা অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলবন্দি আরেক ধর্মগুরু রামরহিমকে (Ramrahim) আবার প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে হরিয়ানা প্রশাসন। চোদ্দ মাসের মধ্যে এই নিয়ে ৪ বার প্যারোলে মুক্তি পেলেন রামরহিম! গত রবিবার পঞ্জাবের সলাবাতপুরায় ভক্ত সমাবেশ অনলাইনে বক্তব্য রাখেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। স্বভাবতই বার বার মুক্তি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।