সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েকদিন পর থেকে দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে মোদি সরকার। তার আগে কেন্দ্রের কাছে জলের দরে কোভিড ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine) বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন ভারত বায়োটেক কর্তা। জানিয়ে দিলেন, বেশিদিন এত কম দামে সরকারের কাছে কোভ্যাক্সিন (Covaxin) বিক্রি করা সম্ভব হবে না। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনের তারতম্য নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এবার সেই বিতর্ক থামাতেই সংস্থার কর্তা এবার মুখ খুললেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারিক্ষেত্রে বিনামূল্যে মিলছে করোনার টিকা। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কোভিড ভ্যাকসিন নিতে গেলে গুনতে হচ্ছে মোটা টাকা। কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজের দাম ধার্য হয়েছে ১৪০০ টাকার বেশি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২১ জুন থেকে বিনামূল্যে টিকাকরণ কর্মসূচি চালুর আগে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মোট ৪৪ কোটি ডোজের বরাত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, সেই টিকার দাম ধার্য করা নিয়ে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করার কথা কেন্দ্রের। মনে করা হচ্ছিল, বিনামূল্যে গণটিকাকরণ প্রক্রিয়ার জন্য টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলিকে দাম কমানোর প্রস্তাব দিতে পারে সরকার। তার আগেই অন্য সুর কোভ্যাক্সিন নির্মাতার গলায়।
[আরও পড়ুন: নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে বিবাদের জের, এবার Twitter কর্তৃপক্ষকে তলব সংসদীয় কমিটির]
কী বলেছেন ভারত বায়োটেক কর্তা? ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজ ১৫০ টাকায় কেন্দ্রকে বেশিদিন বিক্রি করা যাবে না। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, টিকা উৎপাদন শুরুর আগে পরিকাঠামো তৈরি-সহ একাধিক আয়োজন করতে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা সংস্থা নিজের পকেট থেকে খরচ করেছে। ঝুঁকি নিয়েই সেই কাজ করেছে বারত বায়োটেক। তবে এর পরও তারা এত কম খরচে সরকারকে টিকা বিক্রি করবে কি না, ভেবে দেখছে সংস্থার কর্তারা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, সরকারের কাছে কম দামে টিকা বিক্রি করে খরচ উঠছে না। তাই বেসরকারিক্ষেত্রে বেশি দামে টিকা বিক্রি করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: সমাজবাদী পার্টির দিকে পা বাড়িয়ে ৯ বিধায়ক! উত্তরপ্রদেশে কার্যত ‘শক্তিহীন’ মায়াবতী]