shono
Advertisement
Bihar Assembly Election 2025

'বিহারে ইন্ডিয়া জিতলে একাধিক উপমুখ্যমন্ত্রী', 'মুসলিম চাপে' ঘোষণা তেজস্বী যাদবের

মুকেশ সাহানিকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে রীতিমতো অপ্রস্তুতে পড়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোট!
Published By: Subhajit MandalPosted: 02:50 PM Oct 25, 2025Updated: 03:56 PM Oct 25, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিআইপি নেতা মুকেশ সাহানিকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে রীতিমতো অপ্রস্তুতে। মুসলিম দলিত- দুই শ্রেণির ভোটাররাই ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে মুসলিমরা। তাঁদের আক্ষেপ, বিহারে মুসলমান এবং যাদবরা বরাবর আরজেডি এবং কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে ১৯ শতাংশ মুসলিম নিয়মিত বিরোধী জোটকে সমর্থন করলেও সে তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সেই আক্ষেপ মেটাতে এবার আরও উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করতে পারে ইন্ডিয়া জোট। 

Advertisement

আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল AIMIM প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রী সবই নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলেন, তাহলে ১৯ শতাংশ মুসলমান কি শুধু মহাজোটকে ভোটই দিয়ে যাবে? তাঁদের ক্ষমতার শরিক করা হবে না? টিকিট বণ্টনের ক্ষেত্রে, মন্ত্রিত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে, সবেতেই বঞ্চিত সংখ্যালঘুরা। এবারের নির্বাচনের আগে জল্পনা ছিল, কংগ্রেসের তরফে কোনও একজন সংখ্যালঘু মুখকে উপমুখ্যমন্ত্রীর মুখ করা হতে পারে। কিন্তু বৃহস্পতিবার মহাজোট তেমন কোনও ঘোষণা করেনি। সেটাকেই এবার হাতিয়ার করতে চাইছে AIMIM। ২০২০ বিধানসভায় বিহারে আচমকায় শক্তিশালী পক্ষ হিসাবে উঠে আসে AIMIM। সীমাঞ্চল এলাকায় ৫টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয় ওয়েইসির দল। একাধিক আসনে তাঁদের প্রাপ্ত ভোটই হারজিতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও পরে AIMIM-এর পাঁচ বিধায়কের চারজনই আরজেডিতে যোগ দেন। এ বছর আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে লড়ার দাবি করছে মিম।

তাতে খানিকটা হলেও প্রমাদ গুণছেন তেজস্বী যাদব। তড়িঘড়ি শুক্রবার এক জনসভা থেকে বলে দিয়েছেন, "শুধু মুকেশ সাহানি নয়, ইন্ডিয়া জোট জিতলে আরও একজন উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন। সমাজের অন্য কোনও অংশ থেকে। খুব শীঘ্রই তাঁর নাম ঘোষণা করা হবে।" অনেকে মনে করছেন, হয়তো ইন্ডিয়া জোট কোনও মুসলিম নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দিতে পারে। বা আরও একাধিক উপমুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করা হতে পারে। তাতে যেমন দলিত থাকতে পারেন, তেমনই একজন মুসলিম থাকতে পারেন।

কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। মুসলিম কারও নাম উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ঘোষণা করে দিলেই বিজেপি বিভাজন করার সুযোগ পেয়ে যাবে। সচরাচর বিহারে নির্বাচনে ধর্মের থেকেও বেশি গুরুত্ব পায় জাত। কিন্তু ২০২০ সালে কংগ্রেসের এক সংখ্যালঘু প্রার্থীকে ঘিরে বিতর্কের জেরে গোটা মধুবনী অঞ্চলে ধর্মীয় বিভাজন করার সুযোগ পেয়েছিল বিজেপি। এবার সেটার পুনরাবৃত্তি হতে দিতে চায় না ইন্ডিয়া জোট। ফলে মুসলিম কাউকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার ক্ষেত্রে, সেই অঙ্কও ভাবতে হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, প্রথম পর্বের ভোট মিটলে, দ্বিতীয় পর্বের ভোটের আগে এই ঘোষণা করা হতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ভিআইপি নেতা মুকেশ সাহানিকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে রীতিমতো অপ্রস্তুতে পড়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোট।
  • মুসলিম দলিত- দুই শ্রেণির ভোটাররাই ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে মুসলিমরা।
  • সেই আক্ষেপ মেটাতে এবার আরও উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করতে পারে ইন্ডিয়া জোট। 
Advertisement