সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকাই অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দেড় লক্ষ টাকা। উৎসবের মরশুমে প্রধানমন্ত্রী উপহার পাঠিয়েছেন! আর তা দেখেই আনন্দে আত্মহারা বিহারের খাগাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু কপাল মন্দ! এবার ব্যাংক সেই টাকা ফেরত চাইতেই বিপত্তি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার ফেরত দেব কেন? প্রশ্ন করেছেন বিহারের বাসিন্দা রঞ্জিতকুমার দাস। আসল ব্যাপারটা কী?
বিহারের (Bihar) খাগাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিতকুমার। দক্ষিণ গ্রামীণ ব্যাংকের ভক্তিয়ারপুর শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে। হঠাৎই সেই অ্যাকাউন্টে ঢোকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৭০ টাকা। টাকা পাওয়ার পরই তাঁর ধারণা হয়, প্রতিশ্রুতি মতো আর্থিক সাহায্য হিসেবে এই টাকা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেই আনন্দে আত্মহারা তিনি। কিন্তু ভুল ভাঙে ব্যাংক আধিকারিকের ফোন পেয়ে।
[আরও পড়ুন: ভোটের সময় ঢালাও আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি কেন? নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় প্রশ্ন হাই কোর্টের]
ব্যাংকের তরফে ফোন করে রঞ্জিতবাবুকে জানানো হয়, ৮৫ বছরের তারা দেবীর অ্যাকাউন্টে ছিল ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৭০ টাকা। ভুলবশত সেই টাকা রঞ্জিতবাবুর অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। ফেরত চাওয়া হয় টাকা। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিতে নারাজ ওই কৃষক। তাঁর দাবি, এ টাকা প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন। ফেরত দেব কেন? এর পরই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাথায় হাত।
অনেক বোঝানোর পরও সেই টাকা ফেরত দিতে চাননি ওই কৃষক। এদিকে নাছোড়বান্দা ব্যাংকও। ওই কৃষককে নোটিস পাঠানো হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায়, মানসি পুলিশ ফাঁড়িতে রঞ্জিতবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিকে টাকার আসল মালিক তারা দেবীর মাথায় হাত। তিনি বলছেন, সারাজীবনের জমানো টাকা এভাবে বেহাত হবে ভাবিনি। টাকা কীভাবে ফেরত পাব, সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: দেনার দায়ে ধুঁকতে চলা এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে আগ্রহী টাটা গোষ্ঠী]
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদি সকল দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হলে দাবি করে বিরোধীরা। বিহারের কৃষক ভেবেছিলেন সেই টাকাই ঢুকেছে ব্যাংকে। আর এই ভাবনা থেকেই যত বিপত্তি।