সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের আপত্তিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বিহারে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা শুরু করে দিলেন নীতীশ কুমার। সব দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতেই শনিবার থেকে বিহারে শুরু হয়ে গেল জাতিগত আদমশুমারি (Caste Census)। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবি, জাতিগত জনগণনার পরই স্পষ্ট হবে, সমাজের কোন শ্রেণির মানুষ আর্থিকভাবে কী পরিস্থিতিতে রয়েছে।
২০১১ সালের পর ২০২১ সালেই দেশের জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর (Coronavirus) জেরে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। এবারের জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি (SC) এবং তফশিলি উপজাতি (ST) বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী OBC-দের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না। শুধু ওবিসি বলেই উল্লেখ করা হবে। অনেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও শুরু থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর দাবি ছিল, এই সেনসাসে প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা উল্লেখ রাখতে হবে।
[আরও পড়ুন: এই জন্যই তিনি বাদশা, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো অঞ্জলির পরিবারকে আর্থিক সাহায্য শাহরুখের]
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলে আসছিলেন, একমাত্র সেনসাসে আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ থাকলেই সব জাতির মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে। তারপর সব শ্রেণির মানুষের প্রয়োজনমতো সরকার প্রকল্প ঘোষণা করতে পারবে। নীতীশের এই যুক্তি বিহারের তৎকালীন বিরোধী দল আরজেডি মেনে নিলেও বিজেপি মানেনি। বিজেপির সঙ্গে জেডিইউয়ের বিচ্ছেদেরও একটি অন্যতম কারণ ছিল এই জাতিগত সেনসাস।
[আরও পড়ুন: দেবভূমে আতঙ্ক! বড়সড় ভাঙনের মুখে যোশিমঠ, সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের, প্রস্তুত চপারও]
গত বছর আগস্ট মাসের শুরুতেই নীতীশ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের তরফে জাতিগত ভিত্তিতে জনগণনার (Caste-based Census) ব্যবস্থা না করা হলে বিহার নিজের মতো করেই সেই কাজ করবে। তারপর নীতীশের নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা দেশজুড়ে জাতির ভিত্তিতে জনগণনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও (Narendra Modi) দ্বারস্থ হন। কিন্তু কেন্দ্র স্পষ্ট করে দেয়, জাতির ভিত্তিতে জনগণনার পথে ভারত সরকার হাঁটবে না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজেদের মতো করে বিহার সরকার জাতপাতের ভিত্তিতে সেনসাস করানোর সিদ্ধান্ত নিল।