সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানোর (Bilkis Bano Gang Rape) ধর্ষকদের সাজা মকুব করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন জানানো হয়েছে। এবার সেই আবেদনের বিরোধতা করে আদালতের দ্বারস্থ হল ধর্ষকরা। তাদের দাবি, যারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে, তাদের কেউই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বা প্রভাবিত নন। তাহলে কেন আদালতের কাছে তাঁরা এই মামলা নিয়ে আবেদন জানাচ্ছেন। এহেন পদক্ষেপের ফলে আদালতের স্থিতিশীলতায় ক্ষতি হবে বলেই জানিয়েছে ধর্ষকরা।
আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে রাধে শ্যাম নামে এক ধর্ষক বলেছে, “যাঁরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন, তাঁরা কেউই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। পেশাগত ভাবে তাঁরা সকলেই রাজনীতিবিদ।” তাঁদের আবেদন আদৌ গ্রহণযোগ্য কিনা, সেই প্রশ্ন তুলে রাধে শ্যামের পিটিশনে বলা হয়েছে, আদালত যদি এইরকম আবেদনগুলি গ্রহণ করতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ যেকোনও মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চাইবে। আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করার অধিকারও দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: রেহাই নেই ছেলেদেরও, রাজধানীতে গণধর্ষণের শিকার ১২ বছরের নাবালক]
শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের এহেন আবেদনের ফলে আইন ব্যবস্থার স্থিতিশীলতায় ব্যাঘাত ঘটবে বলেও জানিয়েছে রাধেশ্যাম। তার পিটিশনে বলা হয়েছে, “আবেদন কারীদের যথেষ্ট সম্মান করি আমি। কিন্তু তাঁদের মতো তৃতীয় পক্ষকে যদি মামলায় হস্তক্ষেপের অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে আইনের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে। তারপরে সাধারণ মানুষ যখন খুশি যেকোনও মামলায় নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতে চাইবে।”
কিছুদিন আগেই বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার (Gujarat Government)। তারপর থেকেই দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ দাবি করেন, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। সেই দাবি মেনেই সুপ্রিম কোর্টও গুজরাট সরকারের কাছে মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে পাঠায়। ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতেও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যেই এহেন দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ধর্ষকরা।