সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রার্থী তালিকা নিয়ে যতই অসন্তোষ থাক। যতই অখিলেশের দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হোক জাঠেরা। তাঁদের নিজস্ব দল আরএলডি (RLD) অখিলেশের সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নিল। আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরি (Jayant Chaudhary) সাফ জানিয়ে দিলেন, বিজেপি তাঁকে যে আমন্ত্রণ পাঠাচ্ছে, সেটা তাঁকে না পাঠিয়ে পাঠানো হোক সেই ৭০০ কৃষকের বাড়িতে, যাঁদের ঘর ভেঙেছে বিজেপি।
আসলে, সপ্তাহখানেক আগে পর্যন্ত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধী হাওয়া একপ্রকার তুঙ্গে ছিল। কিন্তু ভোটের প্রার্থী তালিকা সামনে আসতেই হিসেবনিকেশ উলটে যেতে শুরু করেছে।সপার প্রধান অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) প্রার্থী নির্বাচনের জন্যই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে, বিশেষ করে মেরঠের মতো জেলায় জাঠ-মুসলিম ভোটের সমীকরণ বিগড়ে গিয়েছে। মেরঠের আওতায় থাকা সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে চারটিতে মুসলিম প্রার্থী দেওয়ার পর থেকেই সেখানকার জাঠদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। পুরনো জাঠ নেতাদের টিকিট না দেওয়ায় তারা সপার প্রতি বিরূপ হয়েছে। যার প্রভাব জাঠদের নিজস্ব দল বলে পরিচিত আরএলডির ভোটব্যাংকে পুরোপুরি প্রভাবিত করার সম্ভাবনা প্রবল।
[আরও পড়ুন: তালিবানি সন্ত্রাসের আবহে মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি]
সুযোগ বুঝে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। বুধবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লিতে প্রায় শ’দুয়েক জাঠ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকটি হয়েছে বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মার বাড়িতে। বৈঠক শেষে প্রবেশ দাবি করেন, ২০০ জন জাঠ নেতা কথা দিয়েছেন তাঁরা আগামী নির্বাচনে বিজেপিকেই সমর্থন করবেন। বিজেপি সাংসদ এরপরই ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলে দেন, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরি ভুল পথে চলে গিয়েছেন। জাঠ সম্প্রদায়ের নেতারা ওঁর সঙ্গে কথা বলবেন। আমাদের দরজা ওঁর জন্য সবসময় খোলা রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ধানবাদ-গয়া শাখায় রেললাইনে বিস্ফোরণ, উদ্ধার মাওবাদী পোস্টার]
যা কিনা বিজেপির তরফে জয়ন্ত চৌধুরীকে সরাসরি জোটে আমন্ত্রণ হিসাবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু আরএলডি সুপ্রিমো তাতে সাড়া দিলেন না। স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপির সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই যাবেন না। তাঁর বক্তব্য, “এই আমন্ত্রণ আমার কাছে পাঠাবেন না। পাঠান সেই ৭০০ জন পরিবারের কাছে, যাঁদের ঘর আপনারা ভেঙেছেন।”