সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার থেকে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভবনের (Jharkhand Assembly) অন্দরেই নমাজ পড়তে পারবেন মুসলিম বিধায়করা। সেজন্য আলাদা করে ঘর বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেরাজ্যের জেএমএম-কংগ্রেস (Congress) জোট সরকার। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে ঝাড়খণ্ড-জুড়ে। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে, বিধানসভা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় নমাজের জন্য আলাদা ‘নমাজ কক্ষ’ বরাদ্দ করেছে সরকার। সরকারের যুক্তি, অনেক সময় মুসলিম বিধায়করা অধিবেশনের মাঝপথে নমাজ পড়তে যান। যার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে সমস্যা হয়। সেকারণেই বিধানসভার অন্দরে মুসলিম বিধায়কদের জন্য নমাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি বিজেপির।
[আরও পড়ুন: গত ৬-৭ বছরে অকল্পনীয় উন্নতি করেছে দেশ, ‘শিক্ষক পর্বে’র সূচনায় দাবি মোদির]
গণতন্ত্রের মন্দিরে বিশেষ ধর্মের জন্য উপাসনা কক্ষ! মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতি অধিবেশনের শুরু থেকেই বিধানসভা উত্তাল। দিন দুই আগেই বিধানসভা ভবনের সামনে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কুশপুতুল পুড়িয়েছে। সোমবার দিনভর বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার বিধানসভায় ঢোকার মুখেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। কেউ কেউ হনুমান চালিশাও পাঠ করেন।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান নিয়ে বড় বড় কথা, কাশ্মীরে কী হচ্ছে?’, কেন্দ্রকে তোপ ‘গৃহবন্দি’ Mehbooba Mufti’র]
বিজেপির (BJP) দাবি, বিধানসভা কক্ষে যেমন নমাজের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে, তেমনই বড় হনুমান মন্দির তৈরি করতে হবে। অন্য ধর্মের উপাসনা কক্ষও তৈরি করতে হবে। আর না হয় নমাজ কক্ষটিকে সব ধর্মের প্রার্থনা কক্ষে পরিণত করতে হবে। যদিও, সেই প্রস্তাবে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী সোরেন। তাঁর বক্তব্য, “এতে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। মন পরিষ্কার থাকলে এতে কারও সমস্যা থাকার কথা নয়। কূট মানসিকতা থাকলে সবকিছু নিয়েই সমস্যা হয়।” এরপরই বিজেপি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, অবিলম্বে ওই নমাজ কক্ষ বন্ধ না হলে বিধানসভা কক্ষ ঘেরাও করবে তারা।