বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভোট ঘোষণা হতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন নিয়ে ফের সরগরম রাজধানীর রাজনীতি। বুধবার সাতসকালেই পালটা চালে বিজেপিকে কাত করল আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রীর বিলাসবহুল বাসভবন নিয়ে গেরুয়া শিবিরের পালটা হিসাবে এদিন সাংবাদিকদের নিয়ে বাসভবনের গেটের সামনে হাজির হন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং ও আপ মন্ত্রিসভার সদস্য সৌরভ ভরদ্বাজ। কিন্তু বাসভবনের গেটেই তাঁদের আটকে দেয় অমিত শাহর পুলিশ। উপরাজ্যপালের অনুমতি ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে প্রবেশ করা যাবে না বলে জানায় পুলিশ। বাধা পেয়ে আপ সাংসদের অভিযোগ, দিল্লির মানুষকে ভুল বোঝাতে বাসভবনটি নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে বিজেপি। তাই দিল্লি-সহ দেশের মানুষের কাছে মিথ্যা প্রমাণ করতেই সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে তাঁরা এসেছিলেন।
দিল্লি বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজধানী। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাংলোয় আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার এমপি সঞ্জয় সিং ও মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজকে পুলিশ ঢুকতে বাধা দেওয়ার চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাঁরা এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির প্রচার করা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শিশমহল বিতর্কের অপপ্রচার বন্ধ করতে মিডিয়ার লোকজন নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। তখন পুলিশ তাঁদের সেই সরকারি বাসভবনে ঢুকতে বাধা দিলে তাঁরা গেটের মুখেই ধরনায় বসে পড়েন। সেখানে সাংবাদিকদের সঞ্জয় সিং ও সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, তাঁরা রিপোর্টারদের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনও দেখাতে নিয়ে যেতে চান।
আপের দাবি, মোদির বাসভবন যাকে তাঁরা রাজমহল বলে নাম দিয়েছেন, তা তৈরিতে খরচ হয়েছে ২,৭০০ কোটি টাকা। ভরদ্বাজ বলেন, বিজেপি বলে বেড়াচ্ছে ৬ ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোয় সোনার জল করা কমোড, সুইমিং পুল ও মিনি বার রয়েছে। পরে সেই কমোড খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও তুলেছে গেরুয়া শিবির। আমরা সাংবাদিকদের সেটাই দেখাতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। ওরা কত মিথ্যা কথা বলছে তা প্রমাণ হয়ে যেত। কিন্তু পুলিশ আমাদের বলে যে, কাউকে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু, আমরা তো মন্ত্রী ও সাংসদ, কোন অধিকারে পুলিশ বাধা দিতে পারে? প্রশ্ন তুলেছেন আপ নেতারা।
সৌরভ আরও বলেন, প্রতিদিন বিজেপি নতুন নতুন ভিডিও ও ছবির পোস্টার সাঁটাচ্ছে দিল্লিজুড়ে। আজ আমরা যখন ওদের অপপ্রচার তুলে ধরতে এসেছি, তখন ওরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের ঢুকতে বাধা দিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে এই বাড়ি। ওরা জলকামান এনেছে। ওরা সীমান্তের মতো ঘেরাটোপ তৈরি করেছে যাতে মিডিয়া ঢুকতে না পারে। বিজেপি আমাদের দেখাক, কোথায় রয়েছে সুইমিং পুল, আর কোথায় রয়েছে মিনি বার!