সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আহতদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন।বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও শোকপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু এসবের মধ্যেই বুধবারের ওই দুর্ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
বৈকুণ্ঠ একাদশীর সময় বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের সুযোগ পান পুণ্যার্থীরা। তিরুপতি মন্দিরের বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের জন্য আগে থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। বুধবার সকাল থেকে ওই টিকিট সংগ্রহের জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ প্রথম ৩ দিনে দর্শনের সুযোগ পাবেন। এই ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষকে টিকিট দেওয়ার কথা ছিল বুধবার। মোট ৯৪টি কাউন্টার খুলেছিল তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্ট।
সমস্যা তৈরি হয় বৈরাগী পট্টিতা পার্কে টোকেন বিলির সময়। সকাল থেকেই টিকিট বিলির সব কাউন্টারেই ভিড় ছিল। তবে সন্ধের দিকে পট্টিতা পার্কের কাউন্টারে একসঙ্গে অন্তত ৪-৫ হাজার মানুষ ভিড় জমান। তিরুপতি ট্রাস্ট জানাচ্ছে, লাইনে এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর চিকিৎসার জন্য কাউন্টারের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাতেই লাইনে দাঁড়ানো জনতা বিভ্রান্ত হয়ে যান। একসঙ্গে কাউন্টারের দরজার দিকে ছুটে আসেন কয়েক হাজার মানুষ। ফলে ওই পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। ওই সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত ব্যবস্থা কেন করেন প্রশাসন? টোকেন সংগ্রহে এই পরিমাণ ভিড় হতে পারে জানার পরও কেন আরও বেশি সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হল না? লাইনে দাঁড়ানো পুণ্যার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আদৌ ছিল তো?
প্রশাসন জানাচ্ছে, এ পর্যন্ত ওই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, "যারা নিকটাত্মীয়দের হারালেন আমার সমবেদনা তাঁদের জন্য। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আহতদের সবরকমভাবে সাহায্য করছে।" রাহুল গান্ধী সোশাল মিডিয়ায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমমর্মিতা জানিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের উদ্ধারকাজে সাহায্য করার আর্জি জানিয়েছেন।