সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগেই গুরুতর অভিযোগ এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের কন্যা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে বিটকয়েন দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে বিজেপি। সুপ্রিয়ার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের বিরুদ্ধে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন এনসিপি নেত্রী।
ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত বিরাট এই দুর্নীতি ঘটেছিল ২০১৮ সালে। এই মামলায় লেনদেন কম দেখানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ পাটিল নামে প্রাক্তন ওই পুলিশ কর্তাকে। গ্রেপ্তারির পরই এই মামলায় সুপ্রিয়া সুলে ও নানা পাটোলের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ক্রিপ্টোকারেন্সির ওই টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে। এদিকে এনসিপি নেত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর এক অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আনে বিজেপি। তাদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই এই দুর্নীতি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি। দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই এই বিষয়ে কংগ্রেস ও এনসিপির বক্তব্য জানতে চেয়েছে বিজেপি।
এই ইস্যুতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি তিনটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আনেন বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী। তিনি অভিযোগ করেন মহা বিকাশ আগাড়ির পর্দাফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই অডিওই প্রমাণ করে নানা পাটোল ও সুপ্রিয়া সুলে বিটকয়েন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে, পালটা বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন সুপ্রিয়া। সব অভিযোগ খারিজ করে তিনি বলেন, "আমার বিরুদ্ধে সুধাংশু ত্রিবেদী যা যা অভিযোগ তুলেছেন এই সব মিথ্যা অভিযোগ আমি খারিজ করছি। আমি যে কোনও পাবলিক ফোরামে বসতে রাজি। জায়গা এবং সময় উনি নির্ধারণ করুক।" এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন ও পুণের সাইবার সেলে অভিযোগও দায়ের করেছেন সুপ্রিয়া।
একইসঙ্গে সুপ্রিয়া বলেন, নির্বাচনের একদিন আগে যে অডিও প্রকাশ করা হয়েছে এবং সেখানে যে গলার আওয়াজ শোনা তা আমার নয়। মিথ্যা অভিযোগের জেরে আমি সুধাংশু ত্রিবেদীকে মানহানি মামলার নোটিস পাঠানো হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠল মারাঠা রাজনীতি।