সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছর আগে এই নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির ইস্যু হয়ে উঠেছিল। এমনকী শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টকে। চণ্ডীগড়ের সেই মেয়র পদ এবার দখল করে নিল বিজেপি। তবে এবারের নির্বাচনেও 'ক্রস ভোটিংয়ে'র বিতর্ক তাড়া করল গেরুয়া শিবিরকে।

চণ্ডীগড়ের মেয়র পদে বিজেপি প্রার্থী করেছিল হরপ্রীত কৌর বাবলাকে। বিপক্ষে ছিলেন আপের প্রার্থী প্রেমলতা। আগের বারের মতো এবারও চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের জন্য জোট বেঁধেছিল আপ-কংগ্রেস। মঙ্গলবার গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয় ৩৫ কাউন্সিলর এবং স্থানীয় সাংসদের। আগের বারের নির্বাচনে বিতর্কের জেরে এবার ওই ভোটপ্রক্রিয়ায় নজর রেখেছিল শীর্ষ আদালত। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় খানিকটা চমকপ্রদ ভাবে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
৩৫ আসনের চণ্ডীগড় পুরনিগমে বিজেপির দখলে ছিল ১৬টি আসন। আপের দখলে ছিল ১৩টি আসন এবং কংগ্রেসের দখলে ছিল ৬টি আসন। ভোটের আগে আগে কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর যোগ দেন বিজেপিতে। ফলে বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭। তাতেও ভোটে জেতার কথা ছিল আপ-কংগ্রেস জোটেরই। কারণ ওই এক কাউন্সিলরকে বাদ দিলেও ১৯টি ভোট পাওয়ার কথা ছিল আপ-কংগ্রেসের। বিজেপির পাওয়ার কথা ছিল ১৭ ভোট। কারণ চণ্ডীগড়ের সাংসদও কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি। কিন্তু শেষে ফলাফল উলটো হল। বিজেপি পেল ১৯টি ভোট। আপ-কংগ্রেস পেল ১৭টি ভোট। অর্থাৎ একাধিক কাউন্সিলর ক্রস ভোট করেছেন।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগে হরিয়ানার এই ফল আপের জন্য বড়সড় ধাক্কা। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল এবারের এই মেয়র নির্বাচন হয়েছে আদালতের পর্যবেক্ষণে। ফলে বেনিয়মের অভিযোগ আনারও জায়গা নেই। উলটে দলের কাউন্সিলররাই ক্রস ভোট কেন করলেন, তার জবাবদিহি করতে হচ্ছে আপকে।