সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগপুর হিংসায় মূল অভিযুক্ত ফহিম খানের বাড়িতে বুলডোজার অ্যাকশন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস সরকারের। সোমবার সকালে বুলডোজার-সহ তাঁর বাড়িতে হাজির হয় প্রশাসন। এর পরই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ফহিমের বাড়ির একাংশ। সম্প্রতি নাগপুর কাণ্ডে বুলডোজার অ্যাকশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। এর পরই এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

মোগলসম্রাট ঔরঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিতে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল মহারাষ্ট্র। বিক্ষোভ শুরু করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তেমনই এক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গত ১৭ মার্চ অশান্তি চরম আকার নেয় নাগপুরে। গুজব ছড়ায়, ওই বিক্ষোভে একটি বিশেষ ধর্মগ্রন্থ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেই গুজব মুহূর্তের মধ্যে ভয়াবহ আকার নেয়। ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পুলিশের উপর হামলা চালানোর পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক গাড়ি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এই ফাহিম খান গুজব ও উসকানি ছড়ানোয় গত ১৭ মার্চ গোষ্ঠী হিংসা ছড়িয়েছিল নাগপুর শহরে। যার ফলে আহত হন বহু মানুষ। গত বুধবার ৩৮ বছরের এমডিপির সভাপতি ফাহিম খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর গত শনিবার নাগপুর হিংসা প্রসঙ্গে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস জানান, ”যারা এই হিংসার ঘটনায় যুক্ত ছিল তাদের কোনওভাবেই রেহাত করবে না সরকার। যারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছেন এবং যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার প্রতিটি পয়সা দাঙ্গাবাজদের কাছ থেকে উসুল করা হবে। যদি কেউ টাকা দিতে না পারেন, তবে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।” প্রয়োজনে অপরাধীদের বাড়িতে বুলডোজার চালানো হবে বলেও কড়া হুঁশিয়ারি দেন ফড়ণবিস। তাঁর সেই হুঁশিয়ারির পরই এবার বুলডোজার চলল ফহিমের বাড়িতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যশোধরা নগরের সঞ্জয় বাগ কলোনির বাসিন্দা ফহিম। সোমবার সকালে এই এলাকাতেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ফহিমের বাড়ির একাংশ বুলডোজারে ভেঙে ফেলা হয়। যদিও ঠিক কী কারণে বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে তা প্রশাসনের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, এই বুলডোজার নীতির সূত্রপাত যোগী সরকারের হাত ধরে। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে কেউ রাষ্ট্রের কোপে পড়লে তাঁর বাড়িতে চলত বুলডোজার। কারণ হিসেবে প্রশাসন জানাত সেটি নাকি অবৈধ নির্মাণ। তবে এখানে তেমন কোনও ব্যাখ্যাও প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়নি।