সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর প্রয়াত হন কিংবদন্তি শিল্পপতি। সেই থেকেই আলোচনায় থেকেছে তাঁর উইল। সমুদ্র ও লবণের মধ্যে যে সম্পর্ক, রতন টাটা ও দানশীলতার মধ্যে সম্পর্কও যেন তেমনই। অচ্ছেদ্য, স্বাভাবিক ও সীমাহীন। উইলেও তারই প্রকাশ। রতন টাটা তাঁর প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তির বড় অংশই দান করেছেন ‘রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন’ এবং ‘রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্ট’-এর মাধ্যমে।
এই দুটি সংস্থাই দাতব্য সংস্থা। অর্থাৎ দানকৃত এই বিপুল অর্থ এবার এই দুই সংস্থা ব্যবহার করবে সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানবকল্যাণমূলক প্রকল্পে। উইলে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোনও অপ্রাপ্ত শেয়ার বা সম্পত্তিও এই দাতব্য সংস্থাগুলির মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
বরাবরই দানশীল হিসেবে পরিচিত রতন টাটা। বিভিন্ন দাতব্য কাজের জন্য তিনি তৈরি করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন। একই উদ্দেশ্যে তৈরি রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্টও। এবার জানা গেল বিপুল দানকৃত অর্থ ওই দুই সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। রতন টাটা তাঁর সম্পত্তির একটি বড় অংশ দান করলেও পরিবার-পরিজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কর্মী এবং প্রিয় পোষ্য- কাউকেই বঞ্চিত করেননি।
গত ৯ অক্টোবর ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় বর্ষীয়ান শিল্পপতির। কেবল একজন ব্যবসায়ী নন, ছিলেন নতুন পথের দিশারী। টাটা গোষ্ঠীকে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন রতন টাটা। কেবল যদি ভারতের কথাই হয়, নুন থেকে মোটরগাড়ি, একজন ভারতীয় নাগরিকের প্রতিদিনের জীবনে কাছের ‘বন্ধু’ টাটা। টাটা গোষ্ঠীর পণ্যের প্রতি এই আস্থা বা বিশ্বাস জাগানো রতনের জীবনের অন্যতম সাফল্য। তার জেরেই তৈরি হয়েছিল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য। পাশাপাশি বহু জনহিতৈষী কাজেও নিজেকে আজীবন বেঁধে রেখেছিলেন তিনি।