সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাও এবার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) শহর অযোধ্যায়। ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন সূত্রের খবর, দ্রুত দিল্লি থেকে লখনউ, বারাণসী, প্রয়াগরাজ হয়ে অযোধ্যা পর্যন্ত হাই স্পিড বুলেট ট্রেন (Bullet Train) চালাতে চায় কেন্দ্র। সেজন্য ইতিমধ্যেই গ্রাউন্ড ওয়ার্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
গতবছর রাম মন্দির নির্মাণ কাজের সূচনা করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, এবার অযোধ্যা (Ayodhya) শহরের খোলনলচে বদলে যাবে। বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে নতুন করে জায়গা করে নেবে মন্দিরের এই শহর। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম বিমানবন্দর। সেই বিমানবন্দরের পাশেই তৈরি হবে প্রস্তাবিত বুলেট ট্রেনের স্টেশন। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবিত বিমানবন্দরটির কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: Tripura: সমস্ত জল্পনার অবসান, AICC’র অনুরোধ মেনে ইস্তফা প্রত্যাহার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির]
ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন (NHSRC) সূত্রে জানানো হয়েছে, দিল্লি থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত মোট ৬৭০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৯৪১ কিলোমিটার লাইন পাতা হবে। রেললাইনটি পাতা হবে আগ্রা-লখনউ, প্রয়াগরাজ হয়ে। এই রুটে ঘণ্টায় ৩২০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। লখনউ এবং অযোধ্যার মধ্যে আলাদা একটি লিঙ্ক ট্র্যাক পাতা হবে। সেটিতে ট্রেন চলবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে। গোটা প্রকল্পের খরচ অন্তত ২০০ লক্ষ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকার প্রকল্পের জন্য জমি দেবে। সেজন্য কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের মূল্য উদ্দেশ্যই হল রামচন্দ্রের শহরকে দিল্লির সঙ্গে যুক্ত করা। কিন্তু সেজন্য বিপুল খরচের বোঝা কে বইবে? সে প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: অতিমারীতে কর্মহীনদের ২০২২ পর্যন্ত PF-এর টাকা দেবে কেন্দ্র! জানালেন নির্মলা]
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটার লম্বা বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। পরিস্থিতি এমনই যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) স্বপ্নের এই প্রকল্প নাকি ৫ বছর পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। যে প্রকল্প ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল, সেটা কিনা শেষ হতে পারে ২০২৮ সালে গিয়ে। এই প্রকল্পের জন্য জাপান সরকারের কাছে বিপুল টাকার ঋণ নিয়েছে কেন্দ্র। সেই ঋণের বোঝা আগামী ২০ বছর বইতে হবে সরকারকে।