সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এগারো বছরে অনুৎপাদিত সম্পদ বা ‘ব্যাড লোন’ (Bad Loan) হিসেবে কানাড়া ব্যাংক খরচের খাতায় ধরে রেখেছে ১.২৯ লক্ষ কোটি টাকা। আলাদা আলাদা ব্যক্তিকে পৃথক পৃথকভাবে দেওয়া এই বিপুল ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার আর কোনও সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাই এমন সিদ্ধান্ত।
পুণের আরটিআই কর্মী বিবেক ভেলানকরের জমা দেওয়া আরটিআইয়ের ভিত্তিতে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তবে ‘ব্যাড লোন’-এর আর্থিক অঙ্ক প্রকাশ করলেও এই ঋণ কে বা কারা নিয়েছিল, সেই সব নাম প্রকাশ করতে চায়নি কানাড়া ব্যাংক (Canara Bank)। এর কারণ হিসেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যে ঋণ গ্রহণকারীদের নাম প্রকাশ করলে তা ব্যক্তির গোপনীয়তা ভঙ্গের শামিল হবে, তাই সেটা করা অনুচিত। ভেলানকর অবশ্য আবেদন করেছিলেন ১০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ গ্রহণকারীদের নাম ঘোষণা করা হোক। কিন্তু রাজি হয়নি ব্যাংক।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের তিন স্ত্রী থাকলেও সবাইকে সম্মান করি, কিন্তু হিন্দুরা…’, মিম নেতার মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক]
বস্তুত, মোদি (Narendra Modi) জমানার অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ঋণখেলাপি। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি থেকে শুরু করে মেহুল চোকসি পর্যন্ত বহু শিল্পপতিই মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে ভারত ছেড়েছে গত কয়েকবছরে। সেটাই অস্বস্তি বাড়িয়েছে সরকারের। কিন্তু আরটিআইয়ের তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যাচ্ছে, বারবার ঋণখেলাপির ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও সতর্ক হয়নি ব্যাংকগুলি। কানাড়া ব্যাংকের শুধু যে বিপুল পরিমাণ ঋণ খেলাপ হয়ে গিয়েছে তাই নয়, তারা ঋণখেলাপিদের তালিকাও দিতে নারাজ।
[আরও পড়ুন: ৮ বছর পরও মিলল না মুক্তি, জেলেই থাকতে হবে মাও কার্যকলাপে অভিযুক্ত অধ্যাপককে]
১১ বছরে স্রেফ একটি ব্যাংকেই ঋণখেলাপির পরিমাণ ১ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি। সবকটি ব্যাংক মেলালে এই অঙ্ক যে আকাশ ছুঁয়ে যাবে সেটা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। অথচ, এই ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। না সরকার, না ব্যাংক, কোনওপক্ষই এই অনাদায়ী ঋণ আদায়ের চেষ্টা করছে না। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।