সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই বিলকিস বানো (Bilkis Bano) গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের সাজা মকুব করে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। এমনটাই জানা গেল সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা কিছু নথিপত্র থেকে। জেলে ভাল আচার ব্যবহারের জন্য বিলকিস বানো গণধর্ষণে দোষীদের সাজা মকুব করার আরজি জানিয়েছিল গুজরাট সরকার (Gujarat)। সিবিআই ও বিশেষ আদালতের আপত্তি সত্বেও মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে সেই আরজি মঞ্জুর করে দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
বিলকিস বানো গণধর্ষণে দোষীদের কেন জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হল, গুজরাট সরকারের কাছে প্রশ্ন করেছিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সেই সঙ্গে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্রও সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় গুজরাট সরকারকে। সেই হলফনামাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের ২৮ জুন কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানায় গুজরাট সরকার। মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই উত্তর আসে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফ থেকে। গুজরাট সরকারের আবেদন মেনেই দোষীদের মুক্তি দিতে সম্মতি জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত ১৫ আগস্ট জেল থেকে বেরিয়ে আসে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে ১১ জন দোষী।
[আরও পড়ুন:বঙ্গে ফের এক ছাতার নিচে বাম-কংগ্রেস, জোটে সায় ইয়েচুরির]
এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে। ধর্ষণের অভিযোগে দোষী ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে-এই দুই ক্ষেত্রে সাজা মকুব করে দেওয়ার বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। তা সত্বেও কী করে বিলকিস কাণ্ডে জড়িতদের সাজা মকুব করে জেল থেকে বেরিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হল? সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, গুজরাট সরকারের যে উপদেষ্টা কমিটি দোষীদের সাজা মকুব করার প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছিল, তাদের মধ্যে অধিকাংশই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।
দোষীদের মুক্তি প্রসঙ্গে কিছুই জানতেন না বিলকিস বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে, জেল থেকে বেরনোর পরে দোষীদের বীরের মতো বরণ করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। তারপরেই দোষীদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে দেশের নানা অংশের মানুষ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র যৌথভাবে সুপ্রিম কোর্টে গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন। তারপরেই গুজরাট সরকারের কাছে হলফনামা তলব করে শীর্ষ আদালত। তবে সাধারণ মানুষের অধিকাংশই চান, সিদ্ধান্ত বদল করুক গুজরাট সরকার। ফের জেলে বন্দি করা হোক অপরাধীদের। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
[আরও পড়ুন: অনলাইন জালিয়াতিতেই টাকার কুমির শৈলেশ! হাওড়া কাণ্ডে ৭৭ কোটির লেনদেন দু’টি অ্যাকাউন্টে]