নয়াদিল্লি: স্বাধীনতা দিবসে ওষুধের দাম নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। সরকারি তরফে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে, আগামী ১৫ আগস্ট জীবনদায়ী কিছু ওষুধের (Medicine Price) দাম কমানো হতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে ক্যানসার, ডায়াবিটিস এবং কার্ডিওভাস্কুলার কিছু রোগব্যাধি। এমন কিছু ওষুধ, যা রোগীদের দীর্ঘ সময় ধরে নিতে হয়। সূত্রের খবর, এই নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া এখনও বাকি।
দাবি করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি জীবনদায়ী ওষুধের চড়া মূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র (Central Government)। তাই তারা চাইছে, এই অগ্নিমূল্যে রাশ টানতে। সূত্রের দাবি, অন্তত ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হতে পারে। একইসঙ্গে কেন্দ্র ‘অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের জাতীয় তালিকা, ২০১৫’-র (ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেনশিয়াল মেডিসিন (এনএলইএম) ২০১৫) সংস্কারের কাজও করে চলেছে বলেই খবর। এর উদ্দেশ্য, বর্তমানে বহুল প্রাপ্ত ওষুধপত্রের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পলাতক ৩ আসামী, চাঞ্চল্য পুলিশ মহলে]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবস দেশের ৭৫-তম। এই উপলক্ষে আগামী ১৩-১৫ আগস্ট গৃহীত হতে চলেছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিও। স্বাভাবিকভাবেই, এই বিশেষ দিনে নাগরিকদের জন্য বড় ঘোষণা করতে উন্মুখ কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, আগেই এই মর্মে খবর এসেছিল যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Union Health Minister) মনসুখ মাণ্ডব্য ফার্মা ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসতে চলেছেন আগামী ২৬ জুলাই। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, বর্তমানে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রক এনপিপিএ, এনএলইএম-এর তালিকাভুক্ত ৩৫৫টিরও বেশি ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে। এই ধরনের ওষুধের ট্রেড মার্জিনও নিয়ন্ত্রণ করা হয়, হোলসেলারদের জন্য ৮ শতাংশ আর রিটেলারদের জন্য ১৬ শতাংশে। এই সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারকরা সিলিং প্রাইসের সমান বা কম মূল্যে জিনিস বিক্রি করেন। যদিও, যে সমস্ত ওষুধগুলি সরকারের ‘প্রত্যক্ষ মূল্য নিয়ন্ত্রণ’ তালিকার অন্তর্ভুক্ত নয়, তাদের ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারক সংস্থা যে কোনও মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন (বার্ষিক ১০ শতাংশের বেশি নয়)।
[আরও পড়ুন: অক্ষরের দাপটে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ জিতল শিখর বাহিনী]