সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬ দিনের ডামাডোলের অবসান। অবশেষে ঝাড়খণ্ডের (Jhrakhand) মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আস্থাভোটে জয়ী হলেন চম্পাই সোরেন। ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পদে চম্পাইয়ের বিরোধিতা করেছেন ২৯ জন বিধায়ক। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন চম্পাই (Chompai Soren)।
গত ৩১ জানুয়ারি ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন ঝাড়খণ্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও। তার পরেই ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে শুরু হয় ডামাডোল। কংগ্রেস, আরজেডি ও অন্যান্য জোটসঙ্গীদের সম্মতিতে চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। হেমন্তের ইস্তফার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন চম্পাই।
[আরও পড়ুন: গোয়া ঘুরতে গিয়ে আর চেখে দেখা যাবে না জিভে জল আনা এই ডিশ! জানেন কেন?]
কিন্তু শপথ নেওয়ার পরেও কাটেনি শঙ্কার মেঘ। আচমকাই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান জেএমএমের চার বিধায়ক। অপারেশন লোটাস শুরু করতে কাজে নেমে পড়ে বিজেপিও। শোনা গিয়েছিল, ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিতে রাঁচি পৌঁছে গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের প্রধানরা। এমতাবস্থায় জোটের বিধায়কদের ‘সুরক্ষিত’ রাখতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কংগ্রেসশাসিত তেলেঙ্গানায়। আস্থাভোটের আগেই ফের তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়।
তার পর সোমবারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য চম্পাইকে সময় দেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি দ্বিতীয় হেমন্ত সোরেন। আগের সরকারের পথেই এগোবে নতুন সরকার।” সব পক্ষের বক্তৃতা শেষের পর চম্পাইয়ের পক্ষে ভোট দেন ৪৭ জন বিধায়ক। তার মধ্যে সোরেনের দল জেএমএমের ২৯ জন। কংগ্রেসের ১৬ জন এবং আরজেডি ও সিপিআইএমএলের একজন করে বিধায়ক চম্পাইয়ের পক্ষে ভোট দেন। অন্যদিকে, এনডিএ শিবিরের ২৯জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন চম্পাইয়ের বিপক্ষে। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ৪৭টি ভোট পেয়ে সরকার গড়লেন চম্পাই সোরেন।