সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মার্চ থেকে ধরলে এযাবৎ কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হয়েছে ৬টি চিতার (Cheetah)। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি শাবক। স্বাভাবিক ভাবেই পরপর এতগুলি মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন বন মন্ত্রক। আর তাই বনমন্ত্রী ভুপেন্দর যাদব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দেশে চিতা ফেরানোর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীদের নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানোর। সেই সফরে তাঁরা চিতা সংক্রান্ত অধ্যয়ন করবেন।
উল্লেখ্য, জ্বালা নামের চিতাটির চারটি শাবকের মধ্যে তিনটি শাবকই মারা গিয়েছে। চতুর্থ শাবকটির অবস্থাও বেশ সংকটজনক। এদিকে শুধু শাবক নয়, ভারতের জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে তিনটি পূর্ণবয়স্ক চিতারও। চলতি মাসের ৯ তারিখে কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) মৃত্যু হয়েছে মহিলা চিতা দক্ষের। ২৭ মার্চ মৃত্যু হয় নামিবিয়া থেকে আনা ৫ বছরের স্ত্রী চিতা শাসার। গত ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। এর মধ্যে ফিন্ডা নামে একটি পুরুষ চিতার আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল দক্ষের। একাধিক শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু হয় বাকিদের।
[আরও পড়ুন: ‘সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল’, প্রেমিকাকে ২০ বার কুপিয়ে খুন করেও অনুতাপহীন ধৃত সাহিল! ]
পরপর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে আগামিকাল, সোমবার একটি বৈঠক করেন ভুপেন্দরের সঙ্গে। এরপরই ভুপেন্দর জানিয়েছেন সরকারি কর্মীদের আফ্রিকায় পাঠানোর কথা। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চিতাদের নিরাপত্তা, সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করা হবে। যে কোনও ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে চাইছে কেন্দ্র। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছিল চিতা। সাড়ে সাত দশক আগে অবলুপ্ত হওয়া প্রাণীটিকে ফের ভারতের মাটিতে দেখে খুশি হয়েছিলেন বন্যপ্রাণীপ্রেমীরা। কিন্তু পরপর চিতামৃত্যু ঘিরে দেখা দিয়েছে আশঙ্কার কালো মেঘ।