সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'সর্পদোষ লেগেছে, দোষ কাটাতে গেলে নিজের কন্যাকে বলি দিতে হবে।' তান্ত্রিকের থেকে এমন পরামর্শ পেয়ে নিজের ৭ মাসের শিশুকন্যার জিভ ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন মা। ভয়ংকর সেই অপরাধে ৩২ বছর বয়সি এক মহিলাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল তেলেঙ্গানার এক আদালত।

জানা গিয়েছে, ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটে ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল। ভারতী নামে ওই গৃহবধূ তান্ত্রিকের পরামর্শ মেনে ঘরে এক বিশেষ পুজোর আয়োজন করেন। নিজের মেয়ের রক্ত দিয়েই চলে সেই পুজোর প্রক্রিয়া। ৭ মাসের শিশুকন্যার জিভ কেটে ও গলা কেটে তাকে হত্যা করে ভারতী। এদিকে ঘটনার সময় পাশের ঘরে ছিলেন মহিলার শ্বশুর। ঘরের ভিতর থেকে থেকে শিশুর আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তিনি। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কন্যাকে বলি দিয়ে রক্তাক্ত শরীরে ঘরের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন খুনি মা। তড়িঘড়ি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে মহিলার স্বামী কৃষ্ণা বলেন, "হত্যাকাণ্ডের পর আমার স্ত্রী জানান, আমার কন্যাকে বলি দিয়ে সর্পদোষ থেকে মুক্তি পেলাম আমরা।" কৃষ্ণার দাবি, তাঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। ওই পরিবারের উদ্যোগে ভারতীর মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় তবে ওষুধ খেত না ও। এর আগে স্বামীকে ভারী পাথর ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিজের শিশুকন্যাকে হত্যার ঘটনায় ভারতীকে আদালতে তোলা হলে, সব শুনে বিচারক জানান, এটি বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। এই মামলায় ১০ জন সাক্ষী ও মৃত শিশুকন্যার কাকা ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের বয়ানও পেশ করা হয় আদালতে। সমস্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।