shono
Advertisement

লাদাখে এখনও মোতায়েন প্রচুর চিনা সেনা, স্বীকার করে নিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে

শেষবার সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে দুই দেশই সেনা সরাতে রাজি হয়।
Posted: 08:32 PM Oct 02, 2021Updated: 08:47 PM Oct 02, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে গতবছর থেকেই উত্তপ্ত ভারত (India) ও চিন (China) সম্পর্ক। দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পরও এখনও সমস্যা মেটেনি। সম্প্রতি সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের এক বক্তব্যের পর সেকথাই ফের প্রমাণিত হল। দু’দেশের সেনা একাধিকবার আলোচনাতে বসলেও এখনও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেই চলেছে চিন। সম্প্রতি সেকথাই জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।

Advertisement

গোগরা ও হটস্প্রিং থেকে অস্থায়ী ছাউনি তুলে নিয়ে গিয়েছিল চিনা ফৌজ (Chinese Army)। সেনা পিছনোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। শেষবার সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে দুই দেশই সেনা সরাতে রাজি হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উলটো ছবি। সম্প্রতি পূর্ব লাদাখের (Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরিদর্শন করে এসেছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তাঁর বক্তব্য, শান্তি আলোচনার পরেও বিশ্বাসঘাতকতা করছে চিন। লাদাখের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ফের সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, অস্ত্রশস্ত্রও মজুত করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। সামরিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও সীমান্ত সমস্যার সমাধানে এসে পৌঁছতে পারেনি ভারত ও চিন দুই দেশই। বরং সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে শান্তি বজায় রাখার যে আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে তার মর্যাদা ভেঙেছে চিনই। নতুন করে আগ্রাসনের চেষ্টা দেখিয়েছে তারা। যার কারণে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে লাদাখ সীমান্তে।

[আরও পড়ুন: কংগ্রেসে আরও ভাঙনের আশঙ্কা! তৃণমূলের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ বিক্ষুব্ধ G-23 নেতাদের]

জুলাই মাসেই তাজাকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাতে চিন সম্মতিও দিয়েছিল। সেনাপ্রধান বলছেন, ১৩ বার দুই দেশের মধ্যে সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। গত ৬ মাস ধরে বড়সড় অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও খবর মিলেছে, চিন গোপনে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করে চলেছে ইন্টার্ন ও নর্দার্ন ফ্রন্টে।

ভারতীয় সেনা সূত্র বলছে, চিন যে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে সে সন্দেহ বরাবরই ছিল। তবে সবরকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এর আগেও সেনা সরিয়ে নেওয়ার নাম করে, লাদাখের অন্যান্য স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে নতুন করে সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছিল চিন। সেনা সূত্র বলছে, গত ১০ দিনে দুবার সীমান্ত চুক্তি ভেঙেছে চিন। ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এমনকি রাইফেল ডিভিশনও মোতায়েন করতে দেখা গিয়েছে চিনের বাহিনীকে।

 

[আরও পড়ুন: ‘২০৫০ সালের মধ্যে অসম দখল করবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা’, বিস্ফোরক দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement