সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সহপাঠিনীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। প্রতিশোধ নিতে রাগে ফুঁসছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটি। তাই সহপাঠিনীকে উচিত 'শিক্ষা' দিতে চেয়েছিল সে। অভিযোগ, তাই নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে সুপারি দিয়েছিল সে। ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে হবে। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে খুন হবে। এর জন্য ১০০ টাকাও দিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়া! এই ঘটনা পুণের এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
জানা গিয়েছে, টাকা পেয়ে নবম শ্রেণির ওই ছাত্র সমস্ত রকম পরিকল্পনা করে ফেলেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে সমস্ত কিছু বলে দেয় সে। সঙ্গে নিয়ে যায় ওই ১০০ টাকাও। ঘটনার বিষয় জানাজানি হতেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায় স্কুলে। বাড়ি গিয়ে বাবা-মাকে সমস্ত কিছু বলে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। তারপর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এই ঘটনা দুমাসের আগের। কিন্তু ছাত্রীটির পরিবারের অভিযোগ, এতদিনে ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় ছাত্রীটির পরিবার।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়া রিপোর্ট কার্ডে নিজের বাবার সই নকল করেছিল। সেই বিষয়টি জানতে পেরে যায় ওই ছাত্রী। সে গিয়ে শিক্ষককে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে নালিশ জানায়। শিক্ষকের কাছে ওই পড়ুয়া খুবই বকা খায়। এতেই সহপাঠিনীর উপর রাগ জন্মায় ওই ছাত্রের। ক্ষোভ মেটাতে মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং খুন করতে সিনিয়র এক দাদাকে ১০০ টাকার সুপারি দেয় সে। ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ দুই শিক্ষককে ডেকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা সব কিছু জানার পরও কেন বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি তা জানতে চাওয়া হয়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত করছে পুলিশ।