হেমন্ত মৈথিল: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ওয়াকফ আইনকে হাতিয়ার করে আপ-কংগ্রেসকে তোপ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। যোগী বলছেন, ওয়াকফ মাফিয়ারা যাতে কোনওভাবেই স্কুল-হাসপাতাল, আবাসন এবং শিল্পের জন্য বরাদ্দ জমি দখল করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করবে বিজেপি।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এক সভায় যোগী বলেন, "স্রেফ রুমাল ফেলে দিয়ে একটা জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করার দিন শেষ। এভাবে আর সম্পত্তি বেদখল করা যাবে না।" উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আপ এবং কংগ্রেস ওয়াকফ মাফিয়াদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। ভোটব্যাঙ্কের জন্য লালন-পালন করে আসছে। যখনই দিল্লিতে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। এরপর সরাসরি নাম করে আপের ওখলার বিধায়ককে কাঠগড়ায় তোলেন যোগী। তিনি বলেন, আপের ওখলার বিধায়ক স্রেফ ভোটব্যাঙ্কের জন্য বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করতেন।
যোগীর সভায় হাজার হাজার মানুষের ভিড়।
যোগী এদিন দাবি করেন, দিল্লিতে বেআইনিভাবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সেচ দপ্তরের জমি অনুপ্রবেশকারীদের দখল করতে সাহায্য করেন ওখলার বিধায়ক। উত্তরপ্রদেশ সরকার অনুরোধ করলেও সেই জমি তাঁদের ছাড়া হয়নি। শেষে উত্তরপ্রদেশ থেকে বুলডোজার পাঠিয়ে সেই জমি খালি করতে হয়েছে। যোগীর কথায়, "আমরা জমি ছাড়তে রাজি আছি উন্নয়নের জন্য। কিন্তু বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য এক ছটাক জমিও নয়।" যোগীর দাবি, আপ এবং কংগ্রেস বরাবর হিন্দুদের আঘাত করে।
প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের সাফল্য দাবি করে তিনি বলেন, "২০২৪-এর জানুয়ারি মাস মানুষের মনে থাকবে রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য। আর ২০২৫ এর জানুয়ারি মনে থাকবে মহাকুম্ভের সাফল্যের জন্য।" যোগীর দাবি, মহাকুম্ভে স্রেফ একদিনেই আড়াই কোটি মানুষ অমৃতস্নান করেছেন। এ পর্যন্ত ১৮ কোটি মানুষ স্নান করে ফেলেছেন। যোগীর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও প্রয়াগরাজে গিয়ে ডুব দিয়ে এসেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের উদ্দেশে তাঁর চ্যালেঞ্জ, "সৎ সাহস থাকলে দিল্লির মন্ত্রীদের নিয়ে প্রয়াগরাজে গিয়ে ডুব দিয়ে আসুন।" যোগীর দাবি, দিল্লির আপ সরকার মানুষকে লাগাতার ঠকাচ্ছে। গোটা দেশ যখন বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতি হিসাবে এগোচ্ছে। সেখানে দিল্লিতে শুধুই বিশৃঙ্খলা।