হেমন্ত মৈথিল: মহাকুম্ভে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এবার প্রকাশ্যে এল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বার্তা। পুণ্যার্থীদের কাছে তিনি আবেদন জানালেন, কোনওরকম গুজবে কান না দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি দুর্ঘটনার পর পর অমৃতস্নান বাতিল করেছিল আখড়া পরিষদ। তবে বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক থাকার যুক্তিতে ফের স্নানপর্ব শুরু করার বার্তা দিয়েছে আখড়া পরিষদ।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
মৌনী অমাবস্যার ‘অমৃতস্নান’ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাত্রি দুটো নাগাদ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে মহাকুম্ভে। স্নানের জন্য ঘাটে ভিড় জমিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। সেখানেই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। যার জেরে পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। দুর্ঘটনায় ৩০ থেকে ৪০ জন আহত ও ১০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছিল। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কুম্ভের অস্থায়ী হাসপাতালে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক চরম আকার নেয়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, "প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যপাল আমায় ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সরকারি আধিকারিকরা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন। মানুষের ভিড় অত্যন্ত বেশি। সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। আখড়াদের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আগে পুণ্যার্থীরা স্নান করুক। ভিড় কিছুটা কমলে তারপর আমরা স্নান করব।" পাশাপাশি বলেন, "পুণ্যার্থীদের জন্য আমার বার্তা, প্রয়াগরাজের ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত অসংখ্য অস্থায়ী ঘাট তৈরি করেছি আমরা। সবই গঙ্গা মায়ের ঘাট। আপনারা যে যেখানে আছেন সেখানে স্নান করুন।" এছাড়া প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার আবেদন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং পুণ্যার্থীদের কাছে তার আর্জি, 'কোনওরকম গুজবে কান দেবেন না।’ এক্স হ্যান্ডেলেও এই বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে দুর্ঘটনার পর অমৃতস্নান বাতিল করার ঘোষণা করেছিল আখড়া পরিষদ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের স্নানেরপর্ব চালু করার ঘোষণা করা হয়েছে। আখড়া পরিষদের অধ্যক্ষ রবীন্দ্র গিরি জানান, প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। মেলা কমিটির সঙ্গেও কথা হয়েছে, আমাদের জানানো হয়েছে সাধুদের জন্য গঙ্গার ঘাট ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে। তবে এই স্নান যাত্রায় কোনও জৌলুস বের করা হবে না। প্রাথমিকভাবে প্রাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ১১টা থেকে ধাপে ধাপে আখরার সাধুরা ঘাটে পৌঁছে স্নান করবেন। এর জন্য নির্দিষ্ট সিডিউল তৈরি করা হচ্ছে। ভিড় কমাতে বাতিল করা হয়েছে কুম্ভে আসার পরবর্তী স্পেশাল ট্রেন।