সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। বাড়ল আমূল দুধের দাম। প্রতি লিটার দুধের দাম বাড়ল তিন টাকা। এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।
গুজরাট কোঅপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেডের তরফে আমূলের (Amul) প্রতি লিটার দুধের দাম তিন টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়। আমূল তাজা, আমূল কাউ মিল্ক, আমূল গোল্ড, আমূল এ২ বাফেলো মিল্ক-সহ সব ধরনের দুধের দামই বাড়ল। ৩ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার থেকে কার্যকর নয়া দাম।
[আরও পড়ুন: অঞ্জন দত্ত, সৃজিত বা অরিন্দম নয়, জানেন দেবের ব্যোমকেশের পরিচালক কে?]
আমূল গোল্ডের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটারে ৬৬ টাকা। আমূল তাজার ১ লিটারের প্যাকেটের দাম ৫৪ টাকা। আমূল কাউ মিল্কের এক লিটারের প্যাকেটের দাম বেড়ে দাঁড়াল ৫৬ টাকা। আমূল এ২ বাফেলো মিল্কের প্রতি লিটার প্যাকেটের দাম বেড়ে দাঁড়াল ৭০ টাকা। ২০২৩ সালে এই প্রথমবার দুধের দাম বৃদ্ধি করল আমূল। গত বছর যদিও মোট তিনবার দুধের দাম বৃদ্ধি করেছিল আমূল। সে বছর মোট পাঁচবার দুধের দাম বাড়িয়েছিল মাদার ডেয়ারি। সাম্প্রতিক অতীতে গত বছরের শেষে মাদার ডেয়ারির দুধের দাম বেড়েছিল।
রান্নার গ্যাস থেকে সবজি – হু হু করে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব সামগ্রীরই। তারই মাঝে দুধের দাম বৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই হাতে ছেঁকা আমজনতার। এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরাসরি তোপ দেগে অধীর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ হয়তো দুধ খান না। কিন্তু দেশের শিশুদের দুধের প্রয়োজন রয়েছে।” উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লাগামছাড়া হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল পিঁয়াজের দাম। নির্মলা সীতারমণ সেই সময় বলেছিলেন, “আমি তো পিঁয়াজ খাই না। তাই দাম বৃদ্ধি নিয়ে কিছুই বলতে পারব না।” সীতারমণের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অধীর এভাবে মোদি-শাহকে খোঁচা দিয়েছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।