সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় সাত মাস পর নয়া চেয়ারম্যান পেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যন সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বা এনএইচআরসি-র নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই নিয়োগ নিয়েও প্রবল আপত্তি কংগ্রেসের। হাত শিবিরের দাবি, মানবাধিকার কমিশনার নিয়োগের জন্য বৃথাই বৈঠক ডাকা হয়েছে। আসলে সব আগে থেকেই স্থির করে রেখেছিল কেন্দ্র।
গত ১৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি কমিশনের পরবর্তী চেয়ারম্যান বাছাই করতে বৈঠক করে। বৈঠকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান পদের জন্য তিনটি নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। সেখান থেকে বাছাই করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এনএইচআরসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে রামাসুব্রহ্মণ্যনকে নিয়োগ করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
অর্থাৎ রাহুল-খাড়গেদের সামনেই রামাসুব্রহ্মণ্যমকে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ এখন কংগ্রেস দাবি করছে, সরকার আগে থেকেই রামাসুব্রহ্মণ্যনের নাম ঠিক করে ফেলেছিল। কংগ্রেসের তরফে সংখ্যালঘু দুই বিচারপতির নাম ওই পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রাক্তন বিচারপতি ফলি নরিম্যান এবং প্রাক্তন বিচারপতি কোট্টিল ম্যাথুউ জোসেফের মধ্যে কোনও একজনকে ওই পদে বসানোর দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। এদের একজন পারসি আর একজন খ্রিস্টান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেটা মানেননি।
উল্লেখ্য, এবছরের জুন মাসে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র তাঁর মেয়াদ শেষ করার পর থেকে কমিশনের চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ছিল। বিচারপতি মিশ্র অবসর নেওয়ার পরে কমিশনের সদস্য বিজয়া ভারতী সায়ানী কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন।