সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ সম্মেলনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। যদিও ওই বৈঠকে ব্রাত্যই রইলেন সাংবাদিকরা। এই ঘটনায় বিস্ফোরক টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh)। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপতি বাইডেনের প্রতিনিধি দল অভিযোগ করেছে, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি বাইডেনকে সাংবাদিক সম্মেলনের অনুমতি দেওয়া হয়নি দিল্লির তরফে।
উল্লেখ্য, বাইডেনের ওয়াশিংটনের বাসভবনে মোদিকে বেকায়দায় ফেলেছিল আমেরিকান সাংবাদিকের প্রশ্ন। আমেরিকা সফরে মোদিকে ভারতের মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রশ্ন করে গেরুয়া শিবিরের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকি। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সেই সময়। এবার দিল্লিতে মোদির বাসভবনে বাইডেনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ঢুকতেই দেওয়া হল না সাংবাদিকদের। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আমেরিকার সাংবাদিকদের ওই সময়টায় বাস থেকে নামতেই দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: জি-২০ সামিটে ‘লোন উলফ’ হামলার আশঙ্কা! হোটেলের নিরাপত্তায় মোতায়েন ‘হিট স্কোয়াড’]
এই প্রসঙ্গ তুলে জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, “এটাই মোদির গণতান্ত্রিক স্টাইল!” কংগ্রেসের নেতার বক্তব্য, “হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধি দল বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি বাইডেনকে সাংবাদিক সম্মেলনের অনুমতি দেওয়া হয়নি দিল্লির তরফে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ১১ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনাম যাচ্ছেন, সেখানেই এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। এটাই হল মোদির গণতান্ত্রিক স্টাইল!”
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে একটিও সাংবাদিক বৈঠক করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেখানেই যান, আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের একটি দল তাঁর সফরসঙ্গী হয়। ছোট বড় বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দিল্লির নির্দেশে এবার যা হল না। এই ঘটনা বেনজির বলেই মনে করা হচ্ছে। বিষয়টিকে ভাল ভাবে নেয়নি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
[আরও পড়ুন: ভারতের উদ্যোগে জি-২০-র স্থায়ী সদস্যপদ পেল আফ্রিকান ইউনিয়ন]
যদিও এই প্রসঙ্গে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেছেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনের বৈঠক। সেক্ষেত্রে এটাকে আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বলা যায় না। বরং নিজের বাড়িতে কয়েক জন রাষ্ট্রনেতাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। তাঁর নিজস্ব কিছু নিয়ম-কানুন তিনি বজায় রেখেছেন। এও জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে এমন বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জন্য আলাদা সময় রাখা হয়। এক্ষেত্রে সেই অনুমতি মেলেনি।