সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। রোজ লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মারণ ভাইরাসের (CoronaVirus) কবলে পড়ছেন। অথচ, এখনও অর্ধেক ভারতবাসীকে এই ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব এবং তা রুখে দেওয়ার উপায় সম্পর্কে সচেতন করা যায়নি। এই ৫০ শতাংশ ভারতবাসী নাকি এখনও মাস্ক পরেন না! বৃহস্পতিবার এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক-এর (Ministry of Health)।
দেশের ২৫টি শহরের উপর করা একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, দেশের অধিকাংশ নাগরিকই মাস্ক (Mask) ব্যবহার করেন ভুল পদ্ধতিতে। যারা মাস্ক পরেন তাঁদের মধ্যে আবার ৬৪ শতাংশ মানুষ মাস্ক দিয়ে নাক ঢাকেন না। অর্থাৎ, মাস্ক পরলেও তা কোনও কাজে লাগে না। সার্বিকভাবে গোটা দেশের মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, দেশের এ হেন মহামারী পরিস্থিতি, সরকারের এত সচেতনতার প্রচার সত্ত্বেও এই অসচেতনতার ছবি কেন?
[আরও পড়ুন: করোনা কালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও মহামারী! রাজ্যগুলিকে বিশেষ নির্দেশিকা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের]
যদিও, সার্বিকভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক আশার বাণী শুনিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, টানা ১০ সপ্তাহ বৃদ্ধির পর গত ২ সপ্তাহে পরপর কমেছে দেশের পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate)। গত সপ্তাহে দেশের ৩০৪টি জেলায় পজিটিভিটি রেট আগের তুলনায় কমেছে। যা আশাপ্রদ ব্যাপার। তবে, এখনও দেশের ১৯৪ টি জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বাড়ছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলা এবং কর্ণাটকের পজিটিভিটি রেটও। এই দুই রাজ্য-সহ দেশের মোট সাত রাজ্যে পজিটিভটি রেট ২৫ শতাংশের বেশি। আরও ২২টি রাজ্যের পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশের বেশি। সরকার এ মাসের শেষ থেকেই দৈনিক ২৫ লক্ষ করোনা পরীক্ষার টার্গেট নিয়েছে। আগামী মাসের শেষে তা বাড়ানো হবে দৈনিক ৪৫ লক্ষ পর্যন্ত।